বায়ার্ন মিউনিখের বিপক্ষে জয় নামক শব্দটা বার্সেলোনার কাছে সোনার হরিণে রূপ নিয়েছিল। ২০১৪-১৫ মৌসুমে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালে বায়ার্নকে হারানোর পর বার্সেলোনা এই দলটার বিপক্ষে আর জয়ের মুখ দেখেনি। অবশেষে বুধবার (২৩ অক্টোবর) রাতে সেই হতাশা থেকে তারা মুক্তি পেল। নিজেদের মাঠের খেলায় বায়ার্ন মিউনিখকে তারা ৪-১ গোলে হারিয়েছে। ব্রাজিলের তারকা রাফিনহা হ্যাটট্রিক করেছেন। অন্য গোলটি করেছেন রবার্ট লেভানদোভস্কি।
তিন ম্যাচে বার্সেলোনার এটা দ্বিতীয় জয়। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে বায়ার্নের কাছে টানা ছয় ম্যাচে হারের পর বার্সেলোনার এটা প্রথম জয়। গত ছয় ম্যাচে বার্সেলোনাকে নিয়ে ছেলেখেলা করেছে বায়ার্ন। গোল উৎসবেও মেতেছে। ছয় ম্যাচে বার্সার জালে তারা ২২বার বল ফেলেছিল। বিপরীতে বার্সেলোনার করা গোলের সংখ্যা ছিল মাত্র ৪। চার বছর আগে কোয়ার্টার ফাইনাল ম্যাচে বার্সেলোনা ৮-২ গোলে হেরেছিল। সেই সব হারের অস্বস্তি কিছুটা হলেও এবার প্রশমিত হয়েছে বার্সেলোনার।
ম্যাচের বয়স এক মিনিট হতে না হতেই গোল উৎসবে মেতেছিল বার্সেলোনা। প্রথম মিনিটেই গোল পায় স্প্যানিশ ক্লাবটি। ফারমিন লোপেজের কাছ থেকে অসাধারণ এক পাস পেয়ে রাফিনহা ফাঁকা জালে বল ফেলেন। তাকে আটকাতে গোল ছেড়ে ম্যানুয়েল নয়্যার পোস্ট ছেড়ে বের হয়ে আসলে গোল পোস্ট অরক্ষিত হয়ে পড়েছিল। আর সে সুযোগে সহজে বল জালে জড়িয়ে দেন রাফিনহা। শুরুর এই ধাক্কা ভালোভাবেই সামাল দিয়েছিল বায়ার্ন। মূলত এই গোল বায়ার্নকে মানসিকভাবে কোনো ক্ষতিই করতে পারেনি। বিশেষ করে তাদের খেলার ধারাটাই এমনই ছিল। দারুণভাবে খেলা নিয়ন্ত্রণ করছিল তারা। তার সুফল পেতে দেরি হয়নি তাদের। ১৮ মিনিটে হ্যারিকেন গোল করে সমতায় ফিরিয়ে আনে।
মাঠে বায়ার্নের আধিপত্য থাকলেও বার্সেলোনা কাউন্টার অ্যাটাকে মুন্সিয়ানা দেখিয়ে চলে। প্রথমার্ধেই তারা আরও দুই গোল পায়। ৩৬ মিনিটে রবার্ট লেভানদোভস্কি এগিয়ে নেওয়ার পর ৪৫ মিনিটে রাফিনহা ব্যবধান ৩-১ করেন। বিরতির পরপরই রাফিনহা ৫৬ আবার গোল করে হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন।
১৯৯২-৯৩ মৌসুমে চ্যাম্পিয়নস লিগ নাম হওয়ার পর এই টুর্নামেন্টে বার্সেলোনার খেলোয়াড়দের এটা ১৫তম হ্যাটট্রিক। আগের দিনই ভিনিসিয়ুস জুনিয়রের হ্যাটট্রিকে এই তালিকায় বার্সাকে পেছনে ফেলে এককভাবে শীর্ষে উঠে গিয়েছিল রিয়াল মাদ্রিদ। একদিন পরেই আবার রিয়ালের পাশে চলে এল বার্সেলোনা।