ব্যালন ডি অর

নাটকীয়তা শেষে শেষ হাসি রদ্রির

সব নাটকীয়তার অবসান ঘটিয়ে এবারের ব্যালন ডি অর জয় করেছেন ম্যানচেস্টার সিটি রদ্রিগো হার্নান্দেজ। কাঙ্ক্ষিত এই গোল্ডেন বলটি প্যারিসে জমকালো অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে তার হাতে তুলে দেন ১৯৯৫ সালের ব্যালন ডি অর জয়ী জর্জ উইয়াহ।

ফুটবলারদের স্বপ্নের এই পুরস্কার জয়ে ২৯ তারকা ফুটবলারকে পেছনে ফেলেছেন রদ্রি। সবথেকে কাছের প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন রিয়াল মাদ্রিদের ব্রাজিলিয়ান তারকা ভিনিসিয়াস জুনিয়র। তাছাড়া তার প্রতিদ্বন্দ্বিতার তালিকায় ছিলেন দানি কারভাহাল, জুডে বেলিংহাম, আর্লিং হ্যালান্ড, কিলিয়ান এমবাপ্পে ও লাউতারো মার্টিনেজ।

পুরস্কার নিতে ক্রাচে ভর দিয়ে প্যারিসের থিয়েটার দু শাটলেটে প্রবেশ করেন রদ্রি। গত মাসে প্রিমিয়ার লিগে আর্সেনালের বিপক্ষে খেলার সময় আহত হন তিনি। সে থেকে মাঠের বাইরে রয়েছে। তার জয় স্পেনের ফুটবলে নতুন উম্মাদনা তৈরি করেছে। কেননা ৬৪ বছর পর স্পেনের কোনো পুরুষ ফুটবলারের হাতে ব্যালন ডি অর শোভা পেল। সর্বশেষ ১৯৬০ সালে লুইস সুয়ারেজ স্পেনের হয়ে ব্যাল ডি অর জয় করেছিলেন। স্পেনের হয়ে তৃতীয় খেলোয়াড় হিসেবে রদ্রি এ কীর্তি অর্জন করেছেন। সব মিলিয়ে চতুর্থবারের মতো ব্যালন ডি অর জয় করেছে স্পেনের খেলোয়াড়রা।

সবচেয়ে বেশিবার ব্যালন ডি অর জয় করেছে ফ্রান্স ও জার্মানির খেলোয়াড়রা। এ দুই দেশের পাঁচজন করে খেলোয়াড় এই কাঙ্খিত সোনার বল জয় করেছেন। তবে বেশিবার ব্যালন ডি অর জয় করেছে আর্জেন্টিনার খেলোয়াড়রা। দেশটির বর্তমান অধিনায়ক লিওনেল মেসি আটবার এই কীর্তি দেখিয়েছেন।

ম্যানচেস্টার সিটির জন্য এদিনটা ছিল একটু ভিন্নরকম। একাধিকবার তাদের খেলোয়াড়রা ব্যালন ডি অর জয়ের দৌড়ে থাকলে তারা কখনোই এটি জয় করতে পারেনি। সেদিক থেকে রদ্রি প্রথম।

লম্বা একটা সময় রিয়াল মাদ্রিদের ভিনিসিয়াস ব্যালন ডি অর জয়ের দৌড়ে সবার থেকে এগিয়ে ছিলেন। কিন্তু যখন স্প্যানিশ ক্লাবটি জানতে পারলো ভিনিসিয়াস নয় রদ্রি শিরোপা জিততে যাচ্ছেন তখন তারা অনুষ্ঠান বয়কট করে। রিয়াল মাদ্রিদের কোনো খেলোয়াড় বা কর্মকর্তা অনুষ্ঠানে যোগ দেননি। তবে তারা একাধিক পুরস্কার জয় করেছে। সেরা ক্লাবের পুরস্কার পেয়েছে তারা। পুরুষ ফুটবলের সেরা কোচের পুরস্কারও পেয়েছে তারা। সর্বোচ্চ গোলদাতার গার্ড মুলার ট্রফি জিতেছেন ক্লাবের নতুন খেলোয়াড় এমবাপ্পে।