মেসি ম্যাজিকে লিগস কাপের ফাইনালে মিয়ামি

লিগস কাপের সেমিফাইনাল মানেই টানটান উত্তেজনা। অরল্যান্ডো সিটির বিপক্ষে ম্যাচের শুরুটা যেন ইন্টার মিয়ামির জন্য দুঃস্বপ্নের মতো ছিল। কিন্তু চোট কাটিয়ে মাঠে ফেরা লিওনেল মেসি শেষ পর্যন্ত প্রমাণ করে দিলেন- দলকে ভরসা দেওয়ার মতো ফুটবলার এখনো তিনিই। জোড়া গোল আর ছন্দময় পারফরম্যান্সে অরল্যান্ডোকে হারিয়ে মিয়ামিকে আবারও ফাইনালে তুললেন আর্জেন্টাইন তারকা।

ফ্লোরিডা ডার্বির উত্তাপ নিয়েই মাঠে নামে দুই দল। শুরু থেকে বল দখলে এগিয়ে থাকলেও প্রথমার্ধের শেষ মুহূর্তে পিছিয়ে পড়ে মিয়ামি। ম্যাচের ৪৬ মিনিটে অরল্যান্ডোর মারিও পাসালিচ দুর্দান্ত শটে গোল করে দলকে এগিয়ে দেন। ১-০ গোলের ব্যবধানে বিরতিতে যায় তারা।

দ্বিতীয়ার্ধে খেলায় গতি বাড়ায় ইন্টার মিয়ামি। আক্রমণের পর আক্রমণ শানালেও গোল পাচ্ছিল না তারা। অবশেষে ৭৫ মিনিটে আসে সমতার সুযোগ। লুইস সুয়ারেজকে বক্সের ভেতর ফাউল করলে রেফারি পেনাল্টির বাঁশি বাজান। অরল্যান্ডোর ব্রেকালো দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে মাঠ ছাড়তে বাধ্য হন। পেনাল্টি নিতে এগিয়ে যান মেসি। ঠাণ্ডা মাথায় শট নিয়ে গোল করে সমতায় ফেরান দলকে- স্কোরলাইন ১-১।

ম্যাচের ৮৮ মিনিটে আসে সবচেয়ে নাটকীয় মুহূর্ত। জর্দি আলবার সঙ্গে ওয়ান-টু পাস খেলে বক্সে ঢোকেন মেসি। বাম পায়ের নিখুঁত শটে বল জড়িয়ে যায় অরল্যান্ডোর জালে। মুহূর্তেই বদলে যায় ম্যাচের চিত্র ২-১ গোলে এগিয়ে যায় ইন্টার মিয়ামি।

যোগ করা সময়ে দলের হয়ে তৃতীয় গোল করেন তেলাসকো সেগোভিয়া। সুয়ারেজের পাস থেকে বক্সে ঢুকে দারুণ চিপ শটে গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন তিনি। ৩-১ ব্যবধানের জয় নিশ্চিত হয় ইন্টার মিয়ামির।

শেষ বাঁশি বাজতেই ফাইনাল নিশ্চিত করে হাভিয়ের মাসচেরানোর দল। মেসি খেলেছেন পুরো ম্যাচ, করেছেন জোড়া গোল, আর প্রমাণ করেছেন তিনি এখনো দলের সবচেয়ে বড় অনুপ্রেরণা। সুয়ারেজও ছিলেন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায়।

এই জয়ে টানা দ্বিতীয়বারের মতো লিগস কাপের ফাইনালে উঠল ইন্টার মিয়ামি। প্রতিপক্ষ হবে এলএএফসি ও সিয়াটল সাউন্ডার্সের মধ্যকার সেমিফাইনালের জয়ী দল। ২০২৩ সালে অভিষেক মৌসুমেই শিরোপা জিতেছিল মেসির দল। এবারও তাদের চোখ সেই সাফল্যের পুনরাবৃত্তিতে।