ব্যয়সীমা কমলো বার্সেলোনার, বাড়লো রিয়ালের

লা লিগায় দলের আয়ের উপর নির্ভর করে দলটির খেলোয়াড়দের বেতন কাঠামো। অর্থনৈতিক কারণেই লিওনেল মেসিকে বার্সেলোনা ছাড়তে হয়েছিল। কাতালান ক্লাবটির খেলোয়াড়দের বেতন নিয়ে ঝামেলা এখনও আছে, নতুন খেলোয়াড় নিবন্ধন করাতে গেলে দেখা দেয় সংকট। তাছাড়া স্টেডিয়াম সংস্কারসহ নানা কারণে বার্সেলোনার আয়ের পরিমাণ কমেছে। বিপরীতে জমজমাট অবস্থা বার্সার চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ক্লাব রিয়াল মাদ্রিদের।

লা লিগা জানিয়েছে, বার্সেলোনার স্কোয়াডে সর্বোচ্চ ব্যয়সীমা (স্যালারি ক্যাপ) কমে দাঁড়িয়েছে ৩৫১ মিলিয়ন ইউরোতে। অর্থাৎ ক্লাবটি বেতনের পেছনে ৩৫১ মিলিয়নের বেশি খরচ করতে পারবে না। আগের তুলনায় কমেছে ১১২ মিলিয়ন ইউরো! অন্যদিকে, রিয়াল মাদ্রিদের ব্যয়সীমা বেড়ে ৭৬১ মিলিয়ন ইউরোতে পৌঁছেছে। যা লা লিগার ক্লাবগুলোর মধ্যে সর্বোচ্চ।

প্রতি মৌসুমে লা লিগা কর্তৃপক্ষ ক্লাবের আর্থিক স্থিতিশীলতা অনুযায়ী প্রথম স্কোয়াডের খেলোয়াড় অন্তর্ভুক্তির পাশাপাশি কোচিং স্টাফ, রিজার্ভ এবং যুব দলের জন্য খরচের সীমা বেধে দেয়। বেতন সীমার এই ঘাটতির কারণে সাম্প্রতিক মৌসুমগুলোতে নতুন খেলোয়াড় নিবন্ধনে নানা জটিলতায় পড়ছে কাতালান ক্লাবটি।

বার্সেলোনার বাজেটে যে (স্টেডিয়াম) ভিআইপি বক্সের টিকিট বিক্রি থেকে সম্ভাব্য ১০০ মিলিয়ন ইউরো আয় ধরা হয়েছিল, তা অডিটররা এখনও নিশ্চিত করেনি। ক্যাম্প ন্যুতে চলছে সংস্কার। কম দর্শক ধারণ ক্ষমতার মাঠে খেলছেন ইয়ামাল-রাফিনহারা।

লা লিগায় তৃতীয় সর্বোচ্চ ব্যয়সীমা আতলেতিকো মাদ্রিদের ৩২৭ মিলিয়ন ইউরো। আর সবচেয়ে কম সেভিয়ার (২২ মিলিয়ন ইউরো)।