৭০ সাঁতারু বাছাই, মেধাবী জন্য দুই বছর মেয়াদি আবাসিক ক্যাম্প

মিরপুরের জাতীয় সুইমিং কমপ্লেক্সে আজ অনুষ্ঠিত হলো-সেরা সাঁতারুর খোঁজে বাংলাদেশ ২০২৫ কর্মসূচির দ্বিতীয় পর্বের সমাপনী ও পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠান।

বাংলাদেশ সুইমিং ফেডারেশনের ব্যবস্থাপনায় এবং বাংলাদেশ নৌবাহিনীর সার্বিক সহযোগিতায় আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ফেডারেশনের সভাপতি ও নৌবাহিনী প্রধান এডমিরাল এম নাজমুল হাসান। তিনি বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন এবং প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া তরুণ সাঁতারুদের উৎসাহিত করেন। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন সুইমার ট্যালেন্ট হান্ট স্টিয়ারিং কমিটির আহ্বায়ক রিয়ার এডমিরাল আব্দুল্লাহ আল মাকসুস, যিনি কার্যক্রমের তাৎপর্য তুলে ধরে আশা প্রকাশ করেন যে এই উদ্যোগ দেশের সাঁতারের মানোন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

অনুষ্ঠানে সেরা সাঁতারুর খোঁজে বাংলাদেশ কর্মসূচির সার্বিক অগ্রগতি ও কার্যক্রম নিয়ে একটি অডিও–ভিজ্যুয়াল প্রদর্শন করা হয়। দ্বিতীয় পর্বের অংশগ্রহণকারী সাঁতারুদের নিয়ে সাঁতারে তিনটি এবং ডাইভিং–এ একটি প্রদর্শনী প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়, যা উপস্থিত অতিথিদের প্রশংসা কুড়ায়। স্বাগত বক্তব্য দেন বাংলাদেশ সুইমিং ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মোঃ মাহবুবুর রহমান শাহীন। এরপর স্টিয়ারিং কমিটির আহ্বায়ক রিয়ার এডমিরাল আব্দুল্লাহ আল মাকসুস সভাপতির বক্তব্য প্রদান করেন এবং পরবর্তী সময়ে প্রধান অতিথি বিজয়ীদের পুরস্কৃত করেন।

এই ট্যালেন্ট হান্ট কর্মসূচির প্রথম পর্বে দেশের ৬৪ জেলার ১৫টি ভেন্যু থেকে মোট ২০৮৯ জন সাঁতারুর মধ্যে প্রাথমিক বাছাইয়ের মাধ্যমে ৬৩০ জনকে নির্বাচিত করা হয়। তাদের ছয়টি গ্রুপে ভাগ করে ১৫ জুলাই থেকে ৫ নভেম্বর পর্যন্ত জাতীয় সুইমিং কমপ্লেক্সে দ্বিতীয় পর্বের অনুশীলন ও মূল্যায়ন পরিচালিত হয়। কয়েক মাসের কঠোর অনুশীলন ও মূল্যায়নের ভিত্তিতে শেষ পর্যন্ত ৭০ জন সাঁতারুকে চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত করা হয়েছে, যাদের মধ্যে ৪৭ জন বালক এবং ২৩ জন বালিকা।

চূড়ান্তভাবে বাছাইকৃত এই মেধাবী সাঁতারুদের নিয়ে আগামী জানুয়ারি থেকে শুরু হবে দুই বছর মেয়াদি আবাসিক প্রশিক্ষণ ক্যাম্প। বাংলাদেশ নৌবাহিনীর তত্ত্বাবধানে পরিচালিত এই ক্যাম্পে অংশগ্রহণকারীরা আবাসন, মানসম্মত খাবার, উন্নত প্রশিক্ষণ এবং সাঁতারের প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম পাবেন। পাশাপাশি নৌবাহিনী পরিচালিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়াশোনার ব্যবস্থাও থাকবে। প্রশিক্ষণ সফলভাবে সম্পন্ন করার পর সাঁতারুরা বিভিন্ন বাহিনী ও সংস্থায় চাকরির সুযোগ লাভ করবেন বলে জানানো হয়।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন সুইমিং ফেডারেশনের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও ম্যাক্স গ্রুপের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার গোলাম মোঃ আলমগীর, সহ-সভাপতি ও মিয়া ভাই ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মোঃ মিজানুর রহমান মিয়া ভাই, যুগ্ম সম্পাদক নিবেদিতা দাস, কোষাধ্যক্ষ মেজর মোঃ আতিকুর রহমান (অব.) সহ ফেডারেশনের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য এবং নৌবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। এ ছাড়া এই ট্যালেন্ট হান্ট কর্মসূচির পৃষ্ঠপোষকতা প্রদান করেছে ম্যাক্স গ্রুপ, ইস্ট কোস্ট গ্রুপ, কর্ণফুলি শিপ বিল্ডার্স লিমিটেড, টি.কে. গ্রুপ, প্রাইম ব্যাংক পিএলসি, মেঘনা গ্রুপ এবং মিয়া ভাই ফাউন্ডেশন।