জাকারবার্গের মন্তব্যে মেটার ক্ষমাপ্রার্থনা

ভারতের নির্বাচন নিয়ে মেটা প্রধান মার্ক জাকারবার্গের একটি মন্তব্য নিয়ে ব্যাপক বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। এরজন্য ক্ষমা চেয়েছে প্লাটফর্মটি। খবর হিন্দুস্তান টাইমসের। 

মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) মেটার এক ভারতীয় প্রতিনিধি জাকারবার্গের মন্তব্যের জন্য ক্ষমাপ্রার্থনা করেন। ভারতীয় মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবের পোস্টের প্রেক্ষিতে জাকারবার্গের মন্তব্যের তথ্য যাচাইপূর্বক (ফ্যাক্ট চেক) এক পোস্টে মেটা ইন্ডিয়ার (জননীতি) ভাইস-প্রেসিডেন্ট শিবনাথ থুকরাল বলেন, ‘মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব, মার্কের পর্যবেক্ষণ ছিল এই যে, ২০২৪ সালের নির্বাচনে অনেক ক্ষমতাসীন দল পুনঃনির্বাচিত হয়নি, তা বেশ কিছু দেশের জন্য সত্য। কিন্তু ভারতের জন্য নয়।’
 
‘আমরা এই অনিচ্ছাকৃত ভুলের জন্য ক্ষমা চাইছি। ভারত মেটার জন্য অবিশ্বাস্যভাবে গুরুত্বপূর্ণ একটি দেশ এবং আমরা এর উদ্ভাবনী ভবিষ্যতের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকার জন্য উন্মুখ’, যোগ করেন শিবনাথ থুকরাল। 
 
এই বিতর্কের সূত্রপাত মূলত গত ১০ জানুয়ারি। ওই দিন এক পডকাস্টে সাক্ষাৎকারে জাকারবার্গ বলেন, ‘করোনা মহামারির কারণে বিশ্বজুড়ে ক্ষমতাসীন সরকারগুলোর ব্যাপারে জনমনে আস্থা ঘাটতি দেখা দিয়েছে। কথা প্রসঙ্গে ভারতের উদাহরণও দেন তিনি।

জাকারবার্গ বলেন, ‘২০২৪ বিশ্বজুড়ে একটি খুব বড় নির্বাচনী বছর ছিল এবং ভারতসহ বহু দেশে নির্বাচন হয়েছে। ক্ষমতাসীনরা মূলত প্রতিটি নির্বাচনে হেরে গেছে। এটা এক ধরণের বৈশ্বিক ঘটনা হয়ে দাঁড়ায়।’
 
মেটা প্রধান আরও বলেন, ‘সেটা মুদ্রাস্ফীতির কারণে হোক বা কোভিড মোকাবেলার অর্থনৈতিক নীতির কারণে হোক বা সরকারের কোভিড মোকাবেলার পদ্ধতির কারণে হোক; বিশ্বব্যাপী একই ধরনের ঘটনা ঘটেছে। বিশ্বব্যাপী এর প্রভাব পড়েছে বলে অনুমান করা যায়।’
 
জাকারবার্গের এই মন্তব্যের প্রতিক্রিয়া জানান ভারতের কেন্দ্রীয় যোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। ‘ভুল সংশোধন’ করে দিয়ে সোমবার (১৩ জানুয়ারি) এক এক্স পোস্টে তিনি বলেন, ‘জাকারবার্গ দাবি করেছেন, করোনা পরবর্তী সময়ে ভারতের ২০২৪ সালের নির্বাচনসহ বেশিরভাগ দেশে ক্ষমতাসীন সরকার হেরে গেছে। এটি তথ্যগতভাবে ভুল।’
 
অশ্বিনী আরও লেখেন, ‘২০২৪ সালের লোকসভা ভোটে বিজেপি জয়ী হয়েছে। মোদিজি টানা তৃতীয়বার প্রধানমন্ত্রী হয়ে নজির গড়েছেন। জাকারবার্গের মতো ব্যক্তির এমন ভুল তথ্য দেয়ার ঘটনা হতাশাজনক।’