সম্প্রতি গুগল তাদের জনপ্রিয় চ্যাটবট জেমিনিতে যুক্ত করেছে এক অভিনব ফিচার- ‘স্টোরিবুক’। যার মাধ্যমে এখন ব্যবহারকারীরা শুধু একটি ধারণা বা প্রম্পট দিলেই জেমিনি তৈরি করে দেবে ছবিসহ শিশুতোষ গল্প।
এই স্টোরিবুক ফিচারে থাকছে ১০ পাতার কল্পকাহিনী। প্রতিটি পৃষ্ঠায় থাকবে একটি ছোট অনুচ্ছেদ আর একটি চিত্র যা কল্পনাকে রঙিন করে তুলবে। গল্পগুলো শুধু পড়া নয়, চাইলে জেমিনি নিজেই পড়ে শোনাবে সেসব কাহিনী।
স্টোরিবুক ফিচারে যা যা থাকছে:
বাচ্চাদের ইলাস্ট্রেটেড গল্প: প্রতিটি গল্পে থাকবে সুন্দর ছবি এবং ছোট ছোট অনুচ্ছেদ, যা শিশুরা সহজেই উপভোগ করতে পারবে।
স্টাইল পছন্দ করার সুবিধা: ব্যবহারকারীরা নির্দিষ্ট করে দিতে পারেন তারা কোন স্টাইলে ছবি চান- কমিকস, এনিমে, ক্লেমেশন বা আরও অন্যান্য শিল্পরীতিতে।
ছবি আপলোড করে গল্প বানানো: আপনি যদি আপনার সন্তানের আঁকা একটি ছবি আপলোড করেন, জেমিনি সেই ছবির উপর ভিক্তি করে একটি গল্প বানিয়ে দিতে পারে!
দ্য ভার্জ-এর সাংবাদিক এমা রথ এই ফিচারটি ব্যবহার করে একটি গল্প তৈরি করতে বলেন, যেখানে একটি ক্যাটফিশ নতুন অ্যাকুয়ারিয়ামে বন্ধুত্ব করতে চায়। যদিও গল্পের কনটেন্ট ছিল কিছুটা ‘সাদামাটা’। তবে ছবিতে ছিল বেশ কিছু ‘এআই-স্টাইলের ভুল’- যেমন একটি মাছের গায়ে হঠাৎ করে দেখা গেল মানুষের হাত!
আরও কিছু গল্পে সসের ছবি দেখে মনে হচ্ছে যেন কোনো কার্টুন অপরাধস্থল। আবার টেলিভিশন দেখার দৃশ্যে টিভিটা দেখানো হয়েছে ভুল দিকে। এমনকি গুগলের নিজস্ব প্রোমো ভিডিওতেও ছিল কিছু বিচিত্র ছবি, যেমন একজন নারী রেঞ্চ দিয়ে স্পেসশিপ বানানোর সময় ‘টাপ টাপ’ শব্দ করছে- যেটা কিছুটা বিভ্রান্তিকর!
এমা নিজে একটি কার্টুন ক্যাট এঁকে তা জেমিনিতে আপলোড করেন এবং বলেন যেন এর উপর ভিত্তি করে একটি গল্প তৈরি করা হয়। কিন্তু তৈরি হওয়া গল্প এবং চিত্র তার কল্পনার ধারে কাছেও যায়নি।
তবে এসব ছোটখাটো অদ্ভুততাকে পাশ কাটিয়ে বলা যায়- গল্প তৈরি এবং কল্পনাকে বাস্তবে রূপ দেয়ার দিক থেকে এটি একটি বড় পদক্ষেপ।
স্টোরিবুক ফিচারটি এখন গ্লোবালি ডেস্কটপ ও মোবাইলে উভয় প্ল্যাটফর্মেই ব্যবহারযোগ্য এবং জেমিনি জানে এমন সব ভাষাতেই কাজ করে।