পুরনো, দাগযুক্ত বা ক্ষয়ে যাওয়া ছবি সংরক্ষণ অনেকদিন ধরে সময়সাপেক্ষ ও ব্যয়সাপেক্ষ কাজ ছিল। তবে প্রযুক্তির অগ্রগতির কারণে এ সমস্যা অনেকটা কমে এসেছে। গুগল সম্প্রতি উন্মুক্ত করেছে নতুন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নির্ভর ছবি সংস্কার প্রযুক্তি ‘ন্যানো বানানা প্রো’, যা ব্যবহার করলে নষ্ট হয়ে যাওয়া ছবিকেও প্রায় আসল অবস্থায় ফিরিয়ে আনা সম্ভব।
কিভাবে কাজ করে ন্যানো বানানা প্রো
ন্যানো বানানা প্রো উন্নত ডিফিউশন অ্যালগরিদম ও ডিপ রিকনস্ট্রাকশন প্রযুক্তি ব্যবহার করে। এটি প্রতিটি পিক্সেল আলাদাভাবে বিশ্লেষণ করে অনুপস্থিত বা ক্ষতিগ্রস্ত অংশগুলো স্বাভাবিকভাবে অনুমান করে পূরণ করতে সক্ষম।
বিশেষজ্ঞরা জানান, এআই দিয়ে ছবি রিস্টোর করতে হলে স্পষ্ট নির্দেশনা বা ‘প্রম্পট’ ব্যবহার করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সঠিক প্রম্পট মডেলকে বুঝতে সাহায্য করে কোন অংশ ঠিক করতে হবে এবং কোন অংশ স্বাভাবিক রাখতে হবে।
কিছু কার্যকর প্রম্পট উদাহরণ
সাধারণ ফটো রিস্টোরেশন
‘Restore this old photo with natural colors and clean details. Remove scratches and stains without altering the original feel.’
পোর্ট্রেট সংশোধন
‘Reconstruct facial areas gently, keep natural skin texture, preserve expressions and repair damaged spots without over-smoothing.’
রঙ সংশোধন
‘Neutralize yellow tint, balance shadows and highlights, and enhance contrast while keeping film-like tones.’
খুব বেশি ক্ষতিগ্রস্ত ছবি
‘Rebuild missing or torn portions, recover facial features accurately, reconstruct texture and keep the vintage mood intact.’
ছবির স্বকীয়তা ধরে রাখার পরামর্শ
বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে বলছেন, অতিরিক্ত সংস্কার করলে ছবিতে কৃত্রিমতার ছাপ পড়ে। তাই কিছু বিষয় মেনে চলা জরুরি-
গ্রেইন সম্পূর্ণ মুছে না ফেলা
- পুরোনো ছবির স্বাভাবিক গ্রেইন ছবিকে বাস্তবসম্মত দেখায়। সব গ্রেইন সরালে ছবি প্লাস্টিকের মতো মনে হয়।
সেই সময়কার রঙ বজায় রাখা
- ভিনটেজ ছবির স্বতন্ত্র রঙের প্যালেট রেফারেন্স হিসেবে ব্যবহার করলে ছবি তার যুগের অনুভূতি ধরে রাখে।
আলো-ছায়া নষ্ট না করা
- শ্যাডোর গভীরতা ছবিতে নাটকীয়তা আনে। ক্ষতিগ্রস্ত অংশে শুধুমাত্র আলোর সংশোধন প্রয়োজন।
ন্যানো বানানা প্রো ব্যবহার করে ব্যবহারকারীরা এখন সহজে পুরোনো ও ক্ষতিগ্রস্ত ছবিকে নতুনের মতো দেখতে তৈরি করতে পারছেন, যা ফটোসংগ্রহ ও স্মৃতিচারণে নতুন দিগন্ত খুলে দিয়েছে।