‘গোল্ডেন প্লে বাটন’ পেলে ইউটিউবে আয় কত

আপডেট : ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ০১:৩৮ পিএম

আজকের ডিজিটাল যুগে বিনোদন, শিক্ষা কিংবা তথ্য জানার অন্যতম প্রধান মাধ্যম হয়ে উঠেছে ইউটিউব। অনেকের কাছেই এটি আর শুধু সময় কাটানোর প্ল্যাটফর্ম নয়, বরং একটি পূর্ণাঙ্গ পেশা। নিয়মিত কনটেন্ট তৈরি করে যখন কোনো ইউটিউবারের চ্যানেলে সাবস্ক্রাইবার ও ভিউ দ্রুত বাড়তে থাকে, তখন ইউটিউব সেই সাফল্যের স্বীকৃতি হিসেবে দেয় ‘ইউটিউব ক্রিয়েটরস অ্যাওয়ার্ড’। এই পুরস্কারগুলোর মধ্যে সবচেয়ে কাঙ্ক্ষিত সম্মান হলো ‘গোল্ডেন প্লে বাটন’, যা ১০ লাখ সাবস্ক্রাইবার পূর্ণ হলে দেওয়া হয়।

তবে অনেকের মধ্যেই একটি ভুল ধারণা রয়েছে গোল্ডেন প্লে বাটন পেলেই ইউটিউব নাকি সরাসরি মোটা অঙ্কের টাকা দেয়। বাস্তবতা হলো, ইউটিউব কখনোই শুধু সাবস্ক্রাইবার সংখ্যার ভিত্তিতে অর্থ প্রদান করে না। সাবস্ক্রাইবার বাড়লে চ্যানেলের গ্রহণযোগ্যতা বাড়ে ঠিকই, কিন্তু আয় নির্ভর করে মূলত ভিডিওর ভিউ এবং বিজ্ঞাপন দেখার সংখ্যার ওপর।

ইউটিউবের আয়ের মূল উৎস হলো বিজ্ঞাপন। সাধারণভাবে বিজ্ঞাপনদাতারা প্রতি এক হাজার ভিউয়ের জন্য গড়ে প্রায় ২ ডলার করে প্রদান করে থাকেন। ফলে কোনো চ্যানেলে যদি নিয়মিত ভালো মানের কনটেন্ট প্রকাশিত হয় এবং বিপুল দর্শক সেই ভিডিও দেখেন, তাহলে সেই ইউটিউবারের বার্ষিক আয় কয়েক মিলিয়ন ডলারে পৌঁছাতেও পারে। বড় চ্যানেলগুলোর ক্ষেত্রে এই অঙ্ক ৪ মিলিয়ন ডলারের কাছাকাছিও হতে দেখা যায়।

যদিও গোল্ডেন প্লে বাটন নিজে কোনো নগদ অর্থ দেয় না, তবে এটি একটি চ্যানেলের বিশ্বাসযোগ্যতা ও মর্যাদা বহুগুণ বাড়িয়ে দেয়। এই স্বীকৃতি পাওয়ার পর অনেক ব্র্যান্ড ও কোম্পানি সরাসরি ইউটিউবারদের সঙ্গে যোগাযোগ করে স্পনসরশিপ ও পেইড প্রোমোশনের জন্য। ভিডিওতে পণ্য বা সেবার প্রচার করে একজন ক্রিয়েটর এখান থেকে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ আয় করতে পারেন।

সব মিলিয়ে বলা যায়, গোল্ডেন প্লে বাটন শুধু একটি পুরস্কার নয়, এটি ইউটিউবারদের জন্য নতুন আয়ের দরজা খুলে দেওয়ার একটি শক্তিশালী মাধ্যম। নিয়মিত মানসম্মত কনটেন্ট ও দর্শকের আস্থা থাকলেই এই স্বীকৃতি ভবিষ্যতে আর্থিক সাফল্যের পথকে আরও প্রশস্ত করে দেয়। সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া

SN