ঈদকে সামনে রেখে অস্থির নিত্যপণ্যের বাজার

নিত্যপণ্যের বাজারে কোনভাবেই লাগাম টানা যাচ্ছে না। ঈদকে সামনে রেখে আবারও বাড়তে শুরু করেছে আলু, পেঁয়াজসহ সব ধরনের মসলার দাম। এতে দিশেহারা অবস্থা সাধারণ ক্রেতাদের। শুধু ডিমেই এক মাসের ব্যবধানে ডজনপ্রতি ১২৫ টাকা বেড়ে ১৬০ টাকায় উন্নীত হয়েছে।

একইভাবে মাস খানেক আগেও ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হওয়া পিঁয়াজ এখন বাজারে ৯০ থেকে ৯৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এক মাসের ব্যবধানে পণ্যটির কেজিতে দাম বেড়েছে ৩০ টাকা। ভরা মৌসুমেও প্রতি কেজি আলু কিনতে হচ্ছে ৬০ টাকা, যা এক কেজি মোটা চালের দামের চেয়েও বেশি।

এদিকে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে নিত্যপণ্যের ওপর উৎসে কর কমানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। তবে এই ঘোষণার প্রভাব পড়েনি নিত্যপণ্যের বাজারে। কোরবানির ঈদকে ঘিরে এরই মধ্যে বাজারে পিঁয়াজ, আদা, আলু ও কাঁচা মরিচসহ বেশ কিছু পণ্য বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে। বাজেটে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বাজার স্থিতিশীল রাখা ও উচ্চ মূল্যস্ফীতির লাগাম টানতে অন্তত ২৭টি প্রয়োজনীয় পণ্য ও খাদ্যশস্য সরবরাহের ওপর উৎসে কর কমানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে এসব পণ্যে উৎসে কর ২ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১ শতাংশ করা হচ্ছে। পণ্যগুলোর মধ্যে রয়েছে- পিঁয়াজ, রসুন, মটর, ছোলা, চাল, গম, আলু, মসুর, ভোজ্য তেল, চিনি, আদা, হলুদ, শুকনা মরিচ, ডাল, ভুট্টা, ময়দা, আটা, লবণ, গোলমরিচ, এলাচ, দারুচিনি, লবঙ্গ, খেজুর, তেজপাতা ইত্যাদি। আমদানি শুল্ক কমানো হলেও বাজারে দাম কমার লক্ষণ নেই।

রাজধানীর বাজারগুলোতে আলু বাজেটের আগে ৫৫ টাকায় বিক্রি হলেও এখন তা বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়। পিঁয়াজ গত সপ্তাহে ৭৫ থেকে ৮০ টাকা হলেও এখন বিক্রি হচ্ছে ৯০ থেকে ৯৫ টাকায়। আদা কেজিতে ২০ টাকা পর্যন্ত বেড়ে মানভেদে ২৮০ থেকে ৩২০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। কাঁচা মরিচ কেজি ২০০ থেকে ২২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অপরিবর্তিত আছে রসুনের দাম। দেশি রসুন কেজি ২০০ থেকে ২২০ টাকা ও আমদানিকৃত রসুন কেজি ২২০ থেকে ২৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মুরগির দাম কেজিতে ২০ টাকা পর্যন্ত কমে ব্রয়লার ১৮০ থেকে ১৯০ টাকা ও সোনালি মুরগি কেজি ৩৩০ থেকে ৩৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। গরুর মাংস প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকা। অস্থির মসলার বাজারও। এর মধ্যে দাম বেড়েছে জিরা, দারুচিনি ও লবঙ্গের। প্রতি কেজি জিরার দাম ৭০-৮০ টাকা বেড়ে ৭৫০ টাকা, ১২০ টাকা বেড়ে লবঙ্গ ১ হাজার ৭০০ টাকা, দারুচিনি ৫৫০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। একইভাবে ৪০ থেকে ৫০ টাকা বেড়ে গোলমরিচ বিক্রি হচ্ছে ৮২০ থেকে ৮৩০ টাকা। এখনো বাড়তি দরে বিক্রি হচ্ছে হলুদ, এলাচ। হলুদ কেজিপ্রতি ২৬০, এলাচ ৪ হাজার ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। শুকনা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ টাকায়।