পবিত্র ঈদুল আজহা বা কোরবানির ঈদ সোমবার (১৭ জুন)। কোরবানির ঈদকে কেন্দ্র করে বাজারে অস্বাভাবিক দামে বিক্রি হচ্ছে কাঁচা মরিচ। হঠাৎ এক-দুই দিনের ব্যবধানে এ পণ্যের দাম প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে গেছে। প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ৩০০-৩২০ টাকায়।
রোববার (১৬ জুন) রাজধানীর সেগুনবাগিচা, খিলগাঁও, মুগদা ও মতিঝিলসহ বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে ও খোঁজ-খবর নিয়ে এ তথ্য জানা গেছে।
ক্রেতাদের অভিযোগ, ঈদের আগে চিরাচরিত নিয়মে সিন্ডিকেট করে কাঁচা মরিচের দাম বাড়ানো হয়েছে। কাঁচা মরিচ তো নিত্যপণ্য। এসব বিষয়কে পুঁজি করে এবার পণ্যটির দাম বাড়িয়ে দিয়েছে বিক্রেতারা। তবে, বৃষ্টি আর ঈদে সরবরাহ কম— এমন অজুহাতে দাম বেশি নিচ্ছে সুবিধাবাদী ব্যবসায়ীরা।
রাজধানীর খিলগাঁওয়ের সবজি বিক্রেতা আব্দুল আলিম বলেন, নতুন করে কাঁচা মরিচের দাম বেড়েছে। দুই দিন আগে বৃষ্টি হয়েছে, এছাড়া ঈদের আগে গাড়ি ভাড়া বেশি ও সরবরাহ কম। দুই দিন আগে এক পাল্লা (৫ কোজি) কাঁচা মরিচ পাইকারি কেনা পরতো ৮০০ টাকা; আজকে খরচসহ ১১০০ টাকার ওপরে কেনা পড়েছে। তাই প্রতি কেজি বিক্রি করছি ৩০০ টাকা।
সবজি বাজারে কেনাকাটা করতে আসা আবু সঈদ বলেন, কাঁচা মরিচ এক পোয়া (২৫০ গ্রাম) নিলো ৮০ টাকা। গত বৃহস্পতিবার এক পোয়া মরিচ ছিল ৪০ টাকা। তার মানে ঈদে দাম বাড়িয়ে দ্বিগুণ করে ফেলেছেন। সব সময়ই এই কাজ করে ঈদের দাম বাড়িয়ে দেয়। অভিযোগ করে কোনো লাভ হয় না। সব সময় পকেট কাটে ক্রেতার, আর লাভ গোনে ব্যবসায়ীরা।
কাঁচা মরিচের দাম বাড়লেও ঈদের আগের দিন অন্যান্য সবজির চাহিদা কম থাকায় দাম কিছুটা কমেছে। আজকের বাজারে প্রতি কেজি কাঁকরোল ৭০ টাকায়, বরবটি ৮০ টাকায়, কচুমুখি ১০০ টাকায়, গাজর ৮০ টাকায়, পেঁপে ৫০ টাকায়, ধুন্দল, ঝিঁঙে ও করোলা প্রতি কেজি ৬০ টাকায়, লম্বা বেগুন ৬০ টাকায় ও গোল বেগুন ৭০ টাকায় ও পটল ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।