রাজধানীর বাজারে শীতের মরসুমেও সবজির দাম কমার পরিবর্তে বৃদ্ধি পেয়েছে। সবজির দাম প্রতি কেজি ৬০ থেকে ৮০ টাকা এবং কিছু কিছু সবজি ১০০ টাকাতেও বিক্রি হচ্ছে। এতে হতাশা প্রকাশ করছেন ক্রেতারা।
শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।
আজকের বাজারে মূল সবজির দাম ফুলকপি ৪০ টাকা, বাঁধাকপি ৪০ টাকা, বেগুন ৮০ টাকা, ঝিঙা ৮০ টাকা, বরবটি ১০০ টাকা, করলা ১০০ টাকা, শসা ৮০ টাকা, গাজর ৮০ টাকা, শালগম ৬০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৫০ টাকা, শিম ৬০ টাকা, কাঁচা মরিচ ৮০ টাকা, নতুন আলু ১২০ টাকা, পেঁপে ৪০ টাকা, পেঁয়াজের ফুল ৮০ টাকা।
মালিবাগ বাজারের বিক্রেতা বলেছেন, ‘পাইকারি বাজারে সবজির সরবরাহ কম। ফলে কেনার খরচ বেশি হওয়ায় বিক্রি ও দাম বাড়তে হচ্ছে।’ কাওরানবাজারের বিক্রেতা যোগ করেছেন, ‘বৃষ্টির কারণে ক্ষেতে থাকা সবজির ফলন কমেছে। এছাড়া ট্রাকে কয়েক হাত বদল হওয়ায় খুচরা বাজারে দাম বেড়ে গেছে।’
শীতের সবজি ও পেঁয়াজের দাম বাড়লেও ব্রয়লার মুরগি ও ডিমের দাম কমায় ক্রেতাদের স্বস্তি দেখা গেছে। আজ বয়লার মুরগি ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা, কক মুরগি ২৪৫ থেকে ২৬০ টাকা, লেয়ার মুরগি ২৮০ টাকা, দেশি মুরগি ৫৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। ডিমের দামও কমেছে; লাল ডিম ১০৮-১১৫ টাকা, সাদা ডিম ১০৫-১১৫ টাকা, হাঁসের ডিম ২০০ টাকা প্রতি ডজন।
মাছের বাজারে বড় পরিবর্তন নেই। ইলিশ ১,০০০-২,৮০০ টাকা, রুই ৪০০-৬০০, কাতল ৩৫০-৫৫০, চিংড়ি ১,০০০-১,৮০০, কাচকি ৪০০-৫০০ টাকা কেজি। মুদি ও মসলার বাজারেও দাম অপরিবর্তিত।
অন্যদিকে, গরু ও খাসির মাংসের দাম উচ্চই রয়েছে। প্রতি কেজি গরুর মাংস ৭০০-৮৫০ টাকা, খাসির মাংস ১,১০০-১,৩০০ টাকার মধ্যে। নিম্ন ও মধ্যবিত্ত পরিবারগুলো মাসে একবারও মাংস কিনতে কষ্ট পাচ্ছেন। বিক্রেতারা বলছেন, গোখাদ্য, পরিবহন ও শ্রমিক খরচ কমায় আগের দামে বিক্রি সম্ভব নয়।
বিশেষজ্ঞরা উল্লেখ করছেন, স্থানীয় উৎপাদন ব্যয় বৃদ্ধি, আমদানির চাপ কমে যাওয়া, জ্বালানি ও পরিবহন ব্যয়ের অস্থিরতা মাংসের বাজারে স্থিতিশীলতা আনে না। ক্রেতারা মনে করছেন, যদি মাংসের বাজার মনিটরিং আরও কঠোর না হয়, তাহলে এটি ক্রমেই ‘অভিজাত’ পণ্যে পরিণত হবে।
অস্থির পেঁয়াজের বাজার, দুই দিনে দাম বেড়েছে ৩০-৩৫
দেশে আজ যে দামে বিক্রি হচ্ছে সোনা, ভরি কত?