ভারতীয় আলু-পেঁয়াজ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে বাংলাদেশ!

বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কের টানাপোড়েন শুরু হওয়ার পর ব্যবসায়িকভাবে বিপাকে পড়েছে ভারত। দেশটির পর্যটন ব্যবসায় ধস নেমেছে। হাহাকার নেমে এসেছে শিলিগুড়ি ও দার্জিলিংয়ের মতো পর্যটন স্পটগুলো হাহাকার করছে। বাংলাদেশি ক্রেতা না পেয়ে পেটে টান পড়েছে কলকাতাকেন্দ্রিক ব্যবসায়ীদের। বাংলাদেশের দিক চাতক পাখির মতো তাকিয়ে আছেন তারা। কেউ কেউ এই পরিস্থিতির জন্য মোদি সরকারের প্রতি উষ্মা প্রকাশ করছেন। খবর ইন্ডিয়া ডটকম’র।

এবার আরও বড় ধরনের দুশ্চিন্তায় পড়তে যাচ্ছে ভারত। দেশটি বাংলাদেশে আলু-পেঁয়াজের একচেটিয়া বাজার হারাতে যাচ্ছে। এবার ভারতের বিকল্প হিসেবে অন্য দেশ থেকে আলু ও পেঁয়াজ কেনার কথা ভাবছে ঢাকা। বাংলাদেশ আলু-পেঁয়াজের বিকল্প বাজার পেয়ে গেলে বড় ধরনের ধাক্কা খাবে ভারত। কেননা এসব কাঁচা পণ্য বিক্রির বিকল্প কোনো বাজার পাবে না নয়াদিল্লি, যা দেশটির কৃষকদের জীবনমানে দুর্দশা নামিয়ে আনতে পারে।

সম্পর্কের টানাপোড়েনের পরিস্থিতি যতই জটিল হচ্ছে ততই ভারত থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে বাংলাদেশ। আর এই সময়টাকে সুযোগ হিসেবে দেখা দিয়েছে পাকিস্তানের জন্য। ভারতের চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য সম্পর্ক পুনরুজ্জীবিত হচ্ছে। কিছু দিন আগে পাকিস্তানের কাছ থেকে ২৫ হাজার টন চিনি কিনেছে বাংলাদেশ। এবার আলু এবং পেঁয়াজ কেনার ক্ষেত্রে পাকিস্তানসহ অন্য আরও কয়েকটি দেশ বিকল্প হতে যাচ্ছে। এতে উদ্বেগ বাড়ছে নয়াদিল্লির। 

ইন্ডিয়া ডটকম’র প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পাকিস্তানের কাছ থেকে চিনি আমদানির পর এখন আলু-পেঁয়াজের উৎস অনুসন্ধান করছে বাংলাদেশ। এসব পণ্য পাকিস্তান থেকে কিনতে পারে ঢাকা। আলু ও পেঁয়াজের প্রধান সরবরাহকারী ভারতের ওপর নির্ভরতা কমাতে বাংলাদেশের চলমান প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে এ পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যমটির দাবি ভারত নির্ভরতা কমাতে নয়াদিল্লিকে বাদ দিয়ে পাকিস্তান-তুরস্ক-চীন বা অন্য কোনো দেশ থেকে পেঁয়াজ এবং আলু কিনতে পারে বাংলাদেশ। ইতোমধ্যে বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন বা বিটিটিসি আলু ও পেঁয়াজ আমদানির জন্য বেশ কিছু সম্ভাব্য বিকল্প উৎস চিহ্নিত করেছে। এটা বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে জানিয়েছে। এ ছাড়া এসব বিকল্প নিয়ে আমদানিকারকদের সঙ্গেও আলোচনা হয়েছে।