ঢাকা
সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
ই-পেপার

সবজিতে স্বস্তি

প্রাণিজ প্রোটিনের একমাত্র ভরসা ব্রয়লার মুরগি

আপডেট : ১৪ নভেম্বর ২০২৫, ১২:৩০ পিএম

রাজধানীর বাজারে দেশি ও সোনালি মুরগি এবং মাছের দাম চড়া থাকায় মধ্যবিত্ত ও নিম্ন আয়ের মানুষের একমাত্র ভরসা হয়ে উঠেছে সস্তা ব্রয়লার মুরগি। শুক্রবার (১৪ নভেম্বর) রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে ঘুরে দেখা গেছে, দেশি মুরগির দাম প্রতি কেজি ৫৫০–৬০০ টাকা, সোনালি মুরগি ২৯০–৩২০ টাকা এবং ব্রয়লার মুরগি মাত্র ১৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বিক্রেতারা জানাচ্ছেন, ব্রয়লার মুরগির উৎপাদন খরচ কম হওয়ায় দাম তুলনামূলকভাবে কম। ফলে চাহিদা বেশি থাকলেও লাভের মার্জিন খুবই সীমিত।

মুরগি বিক্রেতা শফিকুল হাসান বলেন, ‘ব্রয়লার মুরগির বিক্রিও বেশি, কিন্তু খরচ বেড়ে যাওয়ায় মুনাফা কম। তবুও ক্রেতাদের চাহিদা মেটাতে বিক্রি চালিয়ে যেতে হয়।’

অপরদিকে, শীতকালীন সবজির বাজারে কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে। বৃহস্পতিবার এবং শুক্রবার রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে দেখা গেছে, সিম ১৪০–১৫০ টাকা, টমেটো ১২০ টাকা, ফুলকপি ৫০–৬০ টাকা, বাঁধাকপি ৪০–৫০ টাকা, শসা ৮০ টাকা, লাউ ৭০–৮০ টাকা (প্রতি পিস) দরে বিক্রি হচ্ছে। কৃষকরা জানিয়েছেন, আগাম শীতকালীন সবজির সরবরাহ বেড়ে যাওয়ায় দাম কিছুটা কমেছে।

তবে নিত্যপ্রয়োজনীয় পেঁয়াজ ও আলুর দাম এখনও ঊর্ধ্বমুখী। প্রতি কেজি পেঁয়াজ ১১০–১২০ টাকা, আলু ২০–২৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, আমদানি বন্ধ এবং মজুত সংকটের কারণে এই অস্থিরতা চলছে।

মাছের বাজারও ক্রেতাদের জন্য চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বড় রুই মাছ বিক্রি হচ্ছে ৩৫০–৪০০ টাকা, শিং মাছ ৫৫০ টাকা, মাগুর ৫০০ টাকা, চাষের কৈ ২০০–২৫০ টাকা, পাঙাশ ১৮০–২৩৫ টাকা, তেলাপিয়া ১৫০–২২০ টাকা। স্থানীয় বিক্রেতারা জানিয়েছেন, মানুষের বেশি আগ্রহ এখন ব্রয়লার মুরগির দিকে।

এক ক্রেতা বলেন, ‘পরিবারে সপ্তাহে একবার মাংস তো খেতে হবে। দেশি মুরগি বা মাছ কিনতে পারি না, তাই ব্রয়লার মুরগিই কিনি। স্বাদ কম হলেও পেট ভরে।’

সংক্ষেপে, বাজারে শীতকালীন সবজির দাম কিছুটা কমলেও পেঁয়াজ ও আলুর অস্থিরতা রয়েছে। দেশে মাছ ও দেশি মুরগির দাম এখনও উচ্চ অবস্থানে থাকায় মধ্যবিত্ত ও নিম্ন আয়ের মানুষদের প্রাণিজ প্রোটিনের একমাত্র ভরসা হয়ে উঠেছে সস্তা ব্রয়লার মুরগি।

NB/AHA
আরও পড়ুন