বিশ্ব জুড়ে যুদ্ধ

দেশের অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাবের শঙ্কা

চলতি বছরে অর্থনৈতিক সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। বর্তমানে দেশের সামষ্টিক অর্থনীতির অধিকাংশ সূচকই নেতিবাচক। মধ্যপ্রচ্য জুড়ে চলমান যুদ্ধ অর্থনীতিতে আরও বেশি নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। অর্থাৎ সংকটকে আরও গভীরতর করবে বলে মনে করছেন দেশের অর্থ বিশারদরা।

রোববার (১৫ জুন) স্থানীয় একটি পত্রিকার সঙ্গে দেশের শীর্ষস্থানীয় অর্থনীতিবিদরা আলাপকালে এসব কথা বলেন।

অর্থনীতিবিদের মতে, ইরান ও ইসরায়েল দুই দেশের সঙ্গেই বাংলাদেশের সরাসরি অর্থনৈতিক সম্পর্ক খুব বেশি নেই। তবে এই যুদ্ধ পুরো মধ্যপ্রাচ্যে অস্থিরতা তৈরি করতে পারে। আর যুদ্ধ দীর্ঘস্থায়ী হলে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে তিনটি খাতে প্রভাব পড়বে। 

প্রথমত, জ্বালানি তেলের দাম বাড়লে সব খাতে প্রভাব পড়বে। দ্বিতীয়ত, প্রভাব ফেলবে বৈদেশিক শ্রমবাজারে। সর্বশেষ হরমুজ প্রণালি বন্ধ হলে জ্বালানি খাতসহ পুরো আমদানি পণ্য সরবরাহে প্রভাব পড়বে। 

এ প্রসঙ্গে উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজের (বিআইডিএস) সাবেক মহাপরিচালক মোস্তফা কে মুজেরী বলেন, ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধ শুরু হয়েছে। তবে এই যুদ্ধ শুধু দুই দেশের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। ইতোমধ্যে গোটা মধ্যপ্রাচ্যে অস্থিরতা তৈরি করেছে। আর বাংলাদেশের অর্থনীতি অনেকটাই মধ্যপ্রাচ্যের স্থিতিশীলতার সঙ্গে সম্পৃক্ত। ফলে এই যুদ্ধ বাংলাদেশের অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। 

তবে এই প্রভাবের গভীরতা নির্ভর করবে, যুদ্ধ কতটা দীর্ঘ স্থায়ী হয় তার ওপর। 

সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ড. এবি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম বলেন, ইরান ও ইসরাইল যুদ্ধ দীর্ঘায়িত হলে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে কিছুটা নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। এর মধ্যে অন্যতম হলো-জ্বালানি তেলের দাম বেড়ে যাবে।  দ্বিতীয় বিষয় হলো শ্রমবাজার। এখানে কিছুটা নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। তবে এই দুই খাতেই সরাসরি প্রভাবের আশঙ্কা কম।