বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস) ঘোষিত সর্বশেষ দাম সমন্বয়ের পর দেশের বাজারে স্বর্ণ ও রুপার দাম কমানো হয়েছে এবং তা নতুন নির্ধারিত দামেই বিক্রি হচ্ছে।
গত ২৪ জুলাই রাতে বিজ্ঞপ্তিতে দাম কমিয়েছে বাজুস। ওইদিন সংগঠনটি প্রতি ভরিতে স্বর্ণের দাম ১ হাজার ৫৭৪ টাকা কমায়।
বাজুসের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, দেশের বাজারে প্রতি ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) ২২ ক্যারেটের স্বর্ণ বিক্রি হচ্ছে ১ লাখ ৭১ হাজার ৬০১ টাকায়।
এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণ বিক্রি হচ্ছে ১ লাখ ৬৩ হাজার ৭৯৮ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৪০ হাজার ৪০০ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণ বিক্রি হচ্ছে ১ লাখ ১৬ হাজার ১২৭ টাকায়।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট এবং বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ আবশ্যিকভাবে যুক্ত করতে হবে। তবে গহনার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।
এর আগে, সবশেষ গত ২৩ জুলাই দেশে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছিল বাজুস। সেসময় প্রতি ভরিতে ১ হাজার ৫৭৪ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৭৩ হাজার ১৭৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল।
তখন ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম নির্ধারণ করা হয়েছিল ১ লাখ ৬৫ হাজার ৩০২ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৪১ হাজার ৬৮৩ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম নির্ধারণ করা হয়েছিল ১ লাখ ১৭ হাজার ২২৩ টাকা। যা কার্যকর হয়েছিল ২৪ জুলাই থেকে।
এই নিয়ে চলতি বছর মোট ৪৫ বার দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হলো। এর মধ্যে ২৯ বার দাম বাড়ানো হয়েছে, আর কমানো হয়েছে ১৬ বার।
২০২৪ সালে দেশের বাজারে মোট ৬২ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছিল। এর মধ্যে ৩৫ বার দাম বাড়ানো হয়েছিল এবং ২৭ বার কমানো হয়েছিল।
স্বর্ণের দাম কমানো হলেও দেশের বাজারে রুপার দাম রয়েছে অপরিবর্তিত।
বর্তমানে দেশে ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৮১১ টাকায়। এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ৬৮৩ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ২৯৮ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৭২৬ টাকায়।