ভরা মৌসুমে তাপ ছড়াচ্ছে ইলিশ, স্বস্তি নেই মাংসেও

রাজধানীর বাজারে মাছ-মাংসসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম ঊর্ধ্বমুখী। সাপ্তাহিক ছুটির দিন সকালে মিরপুরের বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ভরা মৌসুমেও ইলিশের দাম আকাশচুম্বী, মুরগির বাজারেও নেই স্বস্তি। আর গরু ও খাসির মাংসের দাম সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে।

মাছের বাজার

মাছ বিক্রেতারা জানিয়েছেন, ইলিশের সরবরাহ সীমিত থাকায় দাম কমছে না। বাজারে আকারভেদে ইলিশ বিক্রি হচ্ছে কেজি প্রতি ১৫০০ থেকে ২৭০০ টাকা দরে। ছোট সাইজের রুই মাছ বিক্রি হচ্ছে ৩৪০ টাকা, মাঝারি ৩৬০ টাকা এবং বড় ৩৮০ টাকা কেজি দরে। পাঙ্গাস মাছ বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকা কেজি।

মাছ বিক্রেতা জামাল হোসেন বলেন, মৌসুম হলেও নদীতে তেমন ইলিশ ধরা পড়ছে না। ফলে সরবরাহ কম, দাম কমানোর সুযোগ নেই।

মুরগির বাজার

মুরগির বাজারেও রয়েছে অস্থিরতা।

  • ব্রয়লার মুরগি: ১৬৫ টাকা কেজি
  • সোনালী মুরগি: ৩০০ টাকা কেজি
  • লেয়ার মুরগি: ৩২০-৩৪০ টাকা কেজি
  • দেশি মুরগি: ৬০০-৬৫০ টাকা কেজি

ক্রেতারা বলছেন, ব্রয়লার ছাড়া অন্য মুরগি কেনা দিন দিন অসম্ভব হয়ে উঠছে। তবে ব্রয়লারের দামও বেড়েছে।

গরু ও খাসির মাংস

  • গরুর মাংস: ৭৫০-৮০০ টাকা কেজি
  • ছাগল/খাসির মাংস: ১০০০-১২০০ টাকা কেজি

বিক্রেতারা বলছেন, খুচরা পর্যায়ে তাদের কোনো হাত নেই। পাইকারি বাজার থেকেই পণ্যের দাম বেশি।

ভোক্তারা বলছেন, আয় বাড়েনি, অথচ ব্যয় বেড়েই চলেছে। তারা সরকারের পক্ষ থেকে বাজারে নজরদারি ও নিয়ন্ত্রণের দাবি জানাচ্ছেন।