নতুন পে স্কেলে আর্থিক সুবিধা বাড়ছে যাদের

সম্প্রতি অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ জানিয়েছেন আগামী বছরের শুরু থেকেই নতুন পে স্কেল বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকার। 

তিনি বলেন, নতুন পে স্কেল ২০২৬ সালের শুরু (জানুয়ারি/মার্চ/এপ্রিল) থেকেই কার্যকর হতে পারে।

মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) সচিবালয়ে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

এদিকে সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কিছু আর্থিক সুবিধা বাড়ানো হচ্ছে। এর পাশাপাশি নতুন করে হতে যাচ্ছে পে-স্কেল। বকেয়া ভর্তুকির অর্থও পরিশোধ করছে সরকার। এ অবস্থায় রাজস্ব আয়ে কাঙ্ক্ষিত অগ্রগতি না থাকায় বাড়তি এই ব্যয়ের অর্থসংস্থান নিয়ে সরকার চিন্তায় রয়েছে বলে খবর প্রকাশিত হয় বেশ কিছু গণমাধ্যমে। তবে এমন সংবাদ ঠিক নয় বলে মন্তব্য করেছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।

এদিকে নতুন পে স্কেল অনুযায়ী সরকারি চাকরিজীবীদের বেতন কত বাড়তে পারে তা নিয়ে চলছে আলোচনা।

কমিশনের এক সদস্য জানিয়েছেন, ১০ বছর পর এই কমিশন গঠিত হয়েছে। এ সময়ে মূল্যস্ফীতি ব্যাপকভাবে বেড়েছে। তাই মূল্যস্ফীতি বিবেচনায় রেখেই সুপারিশ করা হবে। বর্তমানে সর্বনিম্ন থেকে সর্বোচ্চ বেতনের অনুপাত (১২:১, ১০:১, ৮:১) নিয়ে যে আলোচনা চলছে, সেটিও কমিশনের নজরে আছে। এগুলো বিবেচনা করেই বর্তমানে থাকা ২০টি গ্রেড ভেঙে গ্রেড কমিয়ে বেতনের অনুপাতে সামঞ্জস্য করার চিন্তা রয়েছে কমিশনের।

তিনি ইঙ্গিত দেন, নতুন স্কেলে মূল বেতন দ্বিগুণ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এমন হলে ১ম গ্রেডে সর্বোচ্চ বেতন দাঁড়াবে ১ লাখ ৫৬ হাজার টাকা এবং ২০তম গ্রেডে সর্বনিম্ন হবে ১৬ হাজার ৫০০ টাকা।

বর্তমানে সর্বোচ্চ পদ (গ্রেড-১) ও সর্বনিম্ন পদ (গ্রেড-২০)-এর বেতনের অনুপাত প্রায় ১০:১ (অর্থাৎ ১ম গ্রেডের একজন কর্মকর্তার বেতন ১০ টাকা হলে ২০তম গ্রেডের বেতন হবে ১ টাকা)। নতুন কাঠামোতেও এ অনুপাত ৮:১ থেকে ১০:১-এর মধ্যে থাকবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। প্রতিবেশী ভারতসহ অন্যান্য দেশে এ ধরনের অনুপাত বিদ্যমান রয়েছে বলে কমিশন পর্যালোচনায় পেয়েছে। ফলে বিদ্যমান ২০টি গ্রেড থেকে গ্রেডের সংখ্যা যদি কমানোও হয়, তারপরেও সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন বেতনের ক্ষেত্রে একই অনুপাত বহাল রাখার সুপারিশ করবে কমিশন।

এদিকে ৯ম জাতীয় বেতন স্কেল গেজেটের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করে যেতে চায় অন্তর্বর্তী সরকার। এজন্য তারা পরবর্তী রাজনৈতিক সরকারের জন্য অপেক্ষা করবে না বলে স্পষ্ট জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।