বাবরি মসজিদ নির্মাণের ঘোষণা দেয়া হুমায়ুনের ছেলেকে আটক করেছে পুলিশ

পশ্চিমবঙ্গের নবগঠিত রাজনৈতিক দল জনতা উন্নয়ন পার্টির চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবিরের ছেলে গুলাম নবী আজাদকে আটক করেছে পুলিশ। তার বিরুদ্ধে হুমায়ুনের নিরাপত্তায় নিয়োজিত এক পুলিশ সদস্যকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় একটি মামলাও হয়েছে। খবর এনডিটিভির।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ছুটির আবেদন জানাতে গেলে ওই পুলিশ সদস্যকে মারধর এবং গালিগালাজ করেন আজাদ।

রোববার (২৮ ডিসেম্বর) বিকেলে সংক্ষিপ্ত জিজ্ঞাসাবাদের পর পুলিশ তাকে আটক করে। পরে তাকে শক্তিপুর থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। ঘটনার সময় পশ্চিমবঙ্গের ক্ষমতাসীন তৃণমূল কংগ্রেস থেকে সাসপেন্ড হওয়া ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবির বাড়িতে ছিলেন না।

সম্প্রতি মুর্শিদাবাদে নতুন বাবরি মসজিদ নির্মাণের ঘোষণা দিয়ে আলোচনায় এসেছেন হুমায়ুন। ‘বিতর্কিত’ বিষয়ে জড়ানোর অভিযোগ এনে তাকে সাসপেন্ড করেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূল। পরে জনতা উন্নয়ন পার্টি নামের নতুন রাজনৈতিক দল গঠন করেন হুমায়ুন।

ছেলের আটক হওয়ার পর হুমায়ুন কবির দাবি করেছেন, ওই কনস্টেবল তাকে আক্রমণের চেষ্টা করেছিলেন এবং তার ছেলে কেবল তাকে রক্ষা করেছে। ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ তার কাছে রয়েছে বলেও দাবি করেছেন। পাশাপাশি তিনি পুলিশ সুপারের দপ্তর ঘেরাও করার হুমকি দেন।

তিনি বলেন, ‘নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা ওই ব্যক্তি আমার ঘরে ঢুকে আমাকে মারধর করার চেষ্টা করে। আমার ছেলে তাকে ঘর থেকে বের করে দেয়। আমি সতর্ক করে দিচ্ছি, আগামী বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় আমরা এসপি অফিস ঘেরাও করব। আমরা জানতে চাই, কোনো নোটিশ না দিয়েই তারা কেন আমার বাড়িতে এসেছিল। এর আগেও এই ব্যক্তির বিরুদ্ধে আমি অভিযোগ জানিয়েছিলাম। এবার সে আমাকে আক্রমণের চেষ্টা করে। আমার ছেলে শুধু আমাকে আক্রমণ থেকে রক্ষা করেছে। প্রয়োজনে আমি সিসিটিভি ফুটেজ দেখাব।’

সূত্রের দাবি, ঘটনাটি হুমায়ুন কবিরের সামনেই ঘটে। জানা গেছে, এদিন সকালে তিনি নিজের বিধায়ক কার্যালয়ে ছেলে ও কয়েকজন দলীয় কর্মীর সঙ্গে বৈঠক করছিলেন। সেই সময় ওই কনস্টেবল তার কাছে এসে ছুটির আবেদন জানান। কবির সেই আবেদন নাকচ করলে দু’জনের মধ্যে তর্কাতর্কি শুরু হয়। এরপর কবিরের ছেলে ওই কনস্টেবলকে চড় মারেন বলে অভিযোগ করা হচ্ছে।

কনস্টেবলের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ শক্তিপুরে কবিরের বাড়িতে পৌঁছে তার ছেলেকে আটক করে। ঘটনার খবর পেয়ে পরে হুমায়ুন কবির নিজেও শক্তিপুর থানায় পৌঁছান।