কিডনি কেনাবেচায় অভিযুক্ত অ্যাপোলো হাসপাতাল

ভারতের বেসরকারি হাসপাতাল গ্রুপ অ্যাপোলোর বিরুদ্ধে কিডনি কেনাবেচার অভিযোগ উঠেছে। এখনে প্রতি বছর ১ হাজার ২০০টির বেশি কিডনি কেনাবেচা হয় এবং চোরাই পথে ভারতের বাইরে, এমনকি যুক্তরাজ্যেও পাঠানো হয় কিডনি। সম্প্রতি যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম দ্য টেলিগ্রাফের এক অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।

টেলিগ্রাফের প্রতিবেদনে বলা হয়, দালাল বা এজেন্টের মাধ্যমে অর্থের লোভ দেখিয়ে মিয়ানমারের বিভিন্ন গ্রাম থেকে তরুণ-তরুণীদের দিল্লি নিয়ে আসা হয়। তারপর অ্যাপোলো বা এই গ্রুপের অন্তর্ভুক্ত কোনো হাসপাতালে অপারেশন করা হয়। প্রতিটি কিডনির জন্য দাতাকে দেয়া হয় ৮০-৯০ লাখ রুপি।

প্রতিবেদনে আরও জানা গেছে, মিয়ানমারের এসব দরিদ্র গ্রামবাসীদের কিডনি কেনেন বড়লোক ক্রেতারা (বায়ার)। এসব বায়ারদের মধ্যে বাইরের বিভিন্ন দেশে বসবাসরত ধনী বার্মিজও রয়েছেন।

তবে এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে অ্যাপোলো গ্রুপ কর্তৃপক্ষ। মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) এক বিবৃতিতে অ্যাপোলো কর্তৃপক্ষ বলেছে, ‘আমাদের প্রতিটি হাসপাতাল সরকারের নির্দেশিত বিধি অনুযায়ী পরিচালিত হয়। একটি বিদেশি পত্রিকায় সম্প্রতি যে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে, তা মিথ্যা। অ্যাপোলো গ্রুপের প্রতি বিদ্বেষী মনোভাব থেকেই উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে এটা করা হয়েছে।’ সূত্র: দ্য টেলিগ্রাফ।