ন্যাটোর পরিণতি নিয়ে শঙ্কায় ইউরোপীয়রা

আগামী বছর যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। সেই নির্বাচনে রিপাবলিকান পার্টির হয়ে আবারও লড়তে পারেন সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

ট্রাম্পের প্রচার-প্রচারণার কাজে ব্যবহার করা একটি ওয়েবসাইটে তিনি বলেছেন, ন্যাটোর উদ্দেশ্য ও অভিযানগুলো গোড়া থেকে পুনর্মূল্যায়নের যে কাজ আমার প্রশাসনের আমলে হাতে নিয়েছিলাম, তা শেষ করতে হবে।

তার বক্তব্যটি ঘিরে ওয়াশিংটনের ইউরোপীয় মিত্রদের মধ্যে ব্যাপক অনিশ্চয়তা ও শঙ্কা দেখা দিয়েছে। প্রশ্ন উঠেছে, ট্রাম্প ফের প্রেসিডেন্ট হলে যুক্তরাষ্ট্রের ঐতিহ্যবাহী পররাষ্ট্রনীতির কি পরিবর্তন হবে?

ন্যাটো ইস্যু নিয়ে গত কয়েক মাসে নিউইয়র্ক টাইমসের কথা হয়েছে সাবেক ও বর্তমান বেশ কয়েকজন ইউরোপীয় কূটনীতিকের সঙ্গে। তারা পরিচয় প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে ইউরোপের বিভিন্ন দেশের দূতাবাস ও সরকার বড় শঙ্কার মধ্যে রয়েছে।

তাদের ধারণা, ট্রাম্প ক্ষমতায় এলে শুধু ইউক্রেনেই মার্কিন সহায়তা বন্ধ হবে না, আরও বড় পরিসরে ইউরোপ থেকে মুখ ফিরিয়ে নেবে যুক্তরাষ্ট্র। একই সঙ্গে ন্যাটো থেকেও নিজেদের গুটিয়ে নেবে তারা।

যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটোর সাবেক সেনা কর্মকর্তা জেমস জি স্টাভ্রিডিস বলেছেন, ইউরোপের দেশগুলো বড় যে ভয় পাচ্ছে, তা হলো দ্বিতীয় মেয়াদে ট্রাম্প ক্ষমতায় এলে সত্যিকার অর্থে ন্যাটো থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে প্রত্যাহার করা হবে। আর তা হবে ওয়াশিংটনের দিক দিয়ে বিশাল এক কৌশলগত ও ঐতিহাসিক ব্যর্থতা।