পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফের হাতে কোনো কর্তৃত্ব নেই বলে মন্তব্য করেছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। তিনি বলেন, রাজা পেছনে বসে আছে। আর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহসিন নাকভি তার বড়লাট হিসেবে দেশ শাসনের কাজ চালাচ্ছেন। গত ৬ এপ্রিল আল-কাদির ট্রাস্ট মামলার শুনানি শেষে আদিয়ালা কারাগারে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। রোববার এই তথ্য জানিয়েছে পাকিস্তানের গণমাধ্যম ডন ।
ইমরান খান আরো বলেন, পাকিস্তান এখন ১৯৭০ এর মতো সংকটের মুখে রয়েছে। পাকিস্তানের স্বার্থে তিনি সবার সঙ্গেই আলোচনা করতে রাজি আছেন। সাবেক সেনাপ্রধান কামার জাভেদ বাজওয়ার সঙ্গে বৈঠকের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, দেশের এই ক্রান্তিলগ্নে যে কারো সঙ্গেই বৈঠক করবেন তিনি। ২০২২ এর এপ্রিলে পিটিআই সরকারের পতনের নেপথ্যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন বাজওয়া সেসময় এমন অভিযোগ করেছিলেন ইমরান খান।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী পিটিআইকে 'ভেঙে' ফেলার উদ্যোগ অব্যাহত রয়েছে দাবি করে বলেন, পিটিআই দলের ইশতেহার চুরি করা হয়েছে এবং দলটিকে দখল করে নেওয়ার উদ্যোগ চলমান আছে। কয়েকজন পিটিআই নেতা এখনো নিজেদের স্বার্থে প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করছেন। খুব সম্ভবত তাদের উদ্দেশ্য দরকষাকষি করা। তবে তিনি এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানাননি।
তিনি আরো বলেন, তার স্ত্রী বুশরা বিবির মাধ্যমে তার ওপর চাপ প্রয়োগের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে এবং যারা তার স্ত্রীর দিকে অভিযোগের আঙ্গুল তুলছেন, তাদের উদ্দেশ্য পিটিআইকে অসংগঠিত করে তোলা।
পাকিস্তানে গত বছর ৯ মে সহিংসতার পর সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দল তেহরিক-ই-ইনসাফের নেতাকর্মীদের গণগ্রেপ্তার শুরু হয়। সে সময় অনেকেই গ্রেপ্তার এড়াতে দল ছেড়ে যেতে বাধ্য হন। শনিবার উল্লেখিত মামলায় সরকারি পক্ষের পাঁচ সাক্ষীর শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। ঈদের পর আবারও এই মামলার কার্যক্রম শুরু হবে।