মুম্বাইয়ে ধূলিঝড়ে বিলবোর্ড ধসে নিহত ১৪

সোমবার সন্ধ্যায় ভারতের মহারাষ্ট্রের মুম্বাই শহরে ভয়াবহ ধূলিঝড় আঘাত হানেছে। আকস্মিক এই ঝড়ে একটি বিশাল বিলবোর্ড ধসে পড়ার ঘটনায় অন্তত ১৪ জন নিহত হয়েছে।  ঝড়ের কারণে মুহূর্তের মধ্যেই চারপাশ ছেয়ে যায় ধুলায়, অন্ধকারে ছেয়ে যায় মুম্বাই। তীব্র বাতাসের গতিতে লণ্ডভণ্ড হয়ে যায় চারপাশ।

ভারতের মহারাষ্ট্রের মুম্বাই শহরে এছাড়া আহত হয়েছে আরও প্রায় ৭০ জন। স্থানীয় কর্তৃপক্ষ এ তথ্য জানিয়েছে। 

এখন পর্যন্ত উদ্ধার কার্যক্রম চলছে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে ভারতীয় গণমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া।

প্রতিবেদনে বলা হয়, স্থানীয় সময় সোমবার হঠাৎ করেই আকাশ কালো করে তীব্র বাতাসের সাথে ধূলিঝড় শুরু হয় মুম্বাইয়ে। ঝড়ের ধাক্কায় ঘাতকপার এলাকায় একটি ১০০ ফুট লম্বা বিলবোর্ড পড়ে যায় পাশের পেট্রোল পাম্পে। সেই সময় বিলবোর্ডের নিচে চাপা পড়েন অনেক মানুষ।

বিলবোর্ডের নিচে থেকে আহত ও জীবিত অবস্থায় ৭৪ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে।

ভারতের জাতীয় দুযোর্গ মোকাবিলা বাহিনী ন্যাশনাল ডিজাস্টার রেসপন্স ফোর্সের (এনডিআরএফ) পরিদর্শক গৌরব চৌহান জানিয়েছেন, ইতোমধ্যে নিহতদের মধ্যে আটজনের দেহ ‍উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। ধ্বংসস্তূপের ভেতরে এখনও চারটি লাশ চাপা পড়ে আছে। কিন্তু পেট্রোল পাম্পের কারণে সেসব লাশ উদ্ধার করা সম্ভব হচ্ছে না।

তিনি বলেন, সেগুলোর অবস্থান পেট্রোল পাম্পের কাছে। উদ্ধার তৎপরতা শুরু করলে সেখানে আগুন বা এ জাতীয় দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা প্রবল।

ঘটনাস্থলের যেসব ভিডিয়েও পাওয়া গেছে —সেগুলোতে দেখা গেছে যে বিজ্ঞাপনী বিলবোর্ডটি ভেঙে পড়ছে একটি পেট্রোল পাম্পের উপর; যার আঘাতে দুমড়ে গিয়ে নীচে নেমে আসে পেট্রোলপাম্পের ছাদ। চাপা পড়ে পেট্রোল পাম্পে দাঁড়িয়ে থাকা কিছু গাড়িও। বিলবোর্ডের ধাতব কাঠামো বহু গাড়ির ছাদ ফুঁড়ে ঢুকে যায়। আয়তনের হিসাব করে পুলিশ তখনই জানিয়েছিল, বিলবোর্ডের নীচে অনেকে চাপা পড়ে থাকতে পারে।

এদিকে পেট্রোল পাম্পে বিলবোর্ড ধসে ১৪ জন নিহত হওয়ার ঘটনায় বিলবোর্ডের কোম্পানি ইগো মিডিয়ার মালিক এবং অন্যদের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেছে মুম্বাই পুলিশ।

স্থানীয় কর্মকর্তাদের মতে, বিলবোর্ডটি বেআইনি ছিল এবং এটি স্থাপনের জন্য কোনও অনুমতি নেওয়া হয়নি। আর তাই এ বিষয়ে পন্তনগর থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।