সিরিয়ায় বর্তমান সরকারের নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে ক্ষমতাচ্যুত আসাদ সরকারের অনুগামী আলাউইত সম্প্রদায়ের অন্তত ৭৪৫ জন নিহত হয়েছে। দেশটিতে নিরাপত্তা বাহিনী এবং মিত্র গোষ্ঠীগুলো গত তিনদিনে ৭৪৫ জন আলাউইত বেসামরিক নাগরিককে হত্যা করেছে বলে জানিয়েছে যুদ্ধ পর্যবেক্ষণকারী একাধিক সংস্থা।
সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) থেকে সহিংসতায় এখন পর্যন্ত সিরিয়ায় এক হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। দুপক্ষের মধ্যে লড়াইয়ে ১২৫ জন নিরাপত্তা কর্মী এবং বাশার আল-আসাদের অনুগত ১৪৮ জন যোদ্ধা নিহত হয়েছেন।
এর আগে সিরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র কর্নেল হাসান আব্দুল গনি রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের মাধ্যমে লাতাকিয়ায় লড়াইরত আসাদের অনুগতদের দেয়া এক সতর্কবার্তায় বলেন, হাজার হাজার মানুষ তাদের অস্ত্র সমর্পণ করে তাদের পরিবারের কাছে ফিরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আবার কেউ কেউ খুনি এবং অপরাধীদের রক্ষায় পালিয়ে যাওয়ার ও মৃত্যুর জন্য জোর দিচ্ছে। পছন্দটি স্পষ্ট; আপনার অস্ত্র জমা দিন অথবা অনিবার্য পরিণতির মুখোমুখি হোন।
এদিকে আলাউইত সম্প্রদায়ের কর্মীরা বলছেন, আসাদের পতনের পর থেকে তাদের সম্প্রদায় সহিংসতা ও আক্রমণের শিকার হয়েছে। বিশেষ করে, হোমস ও লাতাকিয়ার গ্রামীণ এলাকাগুলো এ ধরনের ঘটনা বেশি ঘটছে।
এছাড়াও আলাউইতের বিদ্রোহীদের অস্ত্র জমা দিয়ে আত্মসমর্পণের আহ্বান জানিয়েছেন দেশটির অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল-শারা। টেলিগ্রামে প্রচারিত এক বক্তব্যে শারা বলেন, আপনারা সিরীয় নাগরিকদের ওপর আক্রমণ এবং ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ করেছেন। আপনাদের অস্ত্রগুলো জমা দিন এবং দেরি হয়ে যাওয়ার আগেই আত্মসমর্পণ করুন।
উল্লেখ্য, উপকূলীয় লাতাকিয়া ও তারতুসে শনিবার পর্যন্ত কারফিউ জারি করা হয়। ওই এলাকাগুলোকে আলাউইত সম্প্রদায়ের প্রাণকেন্দ্র হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এছাড়া হোমস শহরেও কারফিউ জারি করা হয়েছে। আসাদের অনুগত সশস্ত্র গোষ্ঠী এবং তাদের সমর্থকদের লক্ষ্য করে নিরাপত্তা অভিযান চালানো হচ্ছে। সূত্র: এএফপি