মিয়ানমারের সাগাইং শহরের কাছে শুক্রবার (২৮ মার্চ) ৭.৭ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। ভূমিকম্পের পর দেশটির রাজধানী নেইপিদোর একটি ১,০০০ শয্যার হাসপাতালকে ‘গণহতাহতের এলাকা’ হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। ওই হাসপাতালটির নাম এখনো প্রকাশ করা হয়নি, তবে এটি রাজাধানী শহরের অন্যতম বৃহৎ হাসপাতাল। এএফপি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, এখন পর্যন্ত হাসপাতালটিতে কতগুলো মৃতদেহ এসেছে আর কতজন মারা গেছেন- তা নিশ্চিত নয়। তবে এ পর্যন্ত ২৬ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এর মধ্যে মান্দালয়ের একটি মসজিদে জুমআ’র নামাজরত অবস্থায় ছাদ ধসে ১০ জনের প্রাণহানী ঘটেছে। আরও প্রাণহানির আশঙ্কা করা হচ্ছে।
আগত আহতদের হাসপাতালের বাইরেই রাস্তার পাশে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। অনেককে স্ট্রেচারে শুইয়ে স্যালাইন দেওয়া হচ্ছে, আর স্বজনরা তাদের পাশে দাঁড়িয়ে কাঁদছেন।
একজন চিকিৎসক বলেছেন, ‘আমি আগে এমন দৃশ্য দেখিনি। আমরা পরিস্থিতি সামলানোর চেষ্টা করছি, তবে আমরা খুব ক্লান্ত হয়ে পড়েছি’।
এদিকে ভূমিকম্পের প্রভাবে হাসপাতালের ভবনটিও মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। প্রবেশপথের অংশ ধসে পড়ায় সেখানে একটি গাড়ি চাপা পড়েছে।
এদিকে মিয়ানমার সীমান্ত সংলগ্ন চীনের ইউনান প্রদেশে শক্তিশালী কম্পন অনুভূত হয়েছে। স্থানীয় ভূকম্পন সংস্থা এটি ৭.৯ মাত্রার বলে জানিয়েছে। সেইসঙ্গে ভারতের কলকাতা, মণিপুর এবং বাংলাদেশের ঢাকা ও চট্টগ্রামেও হালকা কম্পন অনুভূত হয়েছে।
অন্যদিকে মিয়ানমারের পাশাপাশি শক্তিশালী ভূমিকম্প থাইল্যান্ডের ব্যাংকক পর্যন্ত অনুভূত হয়েছে। এতে ব্যাংককের একটি ৩০ তলা নির্মাণাধীন ভবন পুরোপুরি ধসে পড়েছে এবং সেখানে ৪৩ জন আটকে পড়েছেন।
এই ভূমিকম্পে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।