শাহবাজ শরিফের ইউটিউব চ্যানেল ব্লক করলো ভারত

জম্মু-কাশ্মীরের পেহেলগামে সাম্প্রতিক সন্ত্রাসী হামলার জেরে ভারত সরকার পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের ইউটিউব চ্যানেলসহ একাধিক পাকিস্তানি মিডিয়ার ইউটিউব চ্যানেল ব্লক করেছে। শুক্রবার (২ মে) ভারতের টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ সংস্থা এই নির্দেশনা জারি করে।

ব্লক করা চ্যানেলে এখন ‘এই কনটেন্ট আপনার দেশে সরকারি নির্দেশে অপ্রাপ্য’ বলে বার্তা দেখা যাচ্ছে। ভারত সরকারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, এসব চ্যানেল থেকে ভারতবিরোধী, উস্কানিমূলক ও মিথ্যা তথ্য ছড়ানো হচ্ছিল। গুগলের ট্রান্সপারেন্সি রিপোর্টে ভারতের অনুরোধে অপসারণের তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।

এর আগে, সপ্তাহের শুরুতে ভারত সরকার ১৬টি পাকিস্তানি ইউটিউব চ্যানেল ব্লক করেছিল। চ্যানেলগুলোর মধ্যে ডন নিউজ, জিও নিউজ, এআরওয়াই নিউজ, বোল নিউজ, সামা টিভি’র মতো প্রধান সংবাদমাধ্যমের চ্যানেল রয়েছে। ভারতের গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছিল, এসব চ্যানেলে কাশ্মীর ইস্যুতে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে এবং ভারতীয় সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে উস্কানিমূলক কনটেন্ট প্রকাশ করছে।

অন্যদিকে, পাকিস্তান-নিয়ন্ত্রিত আজাদ জম্মু ও কাশ্মীর (এজেকে) সরকার ভারতের সম্ভাব্য হামলার শঙ্কায় সীমান্তবর্তী ১৩টি এলাকায় দুই মাসের জন্য খাদ্য ও ওষুধ মজুতের নির্দেশ দিয়েছে। এজেকে’র প্রধানমন্ত্রী চৌধুরী আনোয়ার উল হক বলেন, নিয়ন্ত্রণ রেখা (এলওসি) সংলগ্ন অঞ্চলে জরুরি সহায়তার জন্য এক বিলিয়ন রুপির তহবিল বরাদ্দ করা হয়েছে।

এদিকে, পেহেলগাম হামলা নিয়ে বিবিসি’র করা একটি প্রতিবেদনকে ’পক্ষপাতদুষ্ট’ বলে মন্তব্য করেছে ভারত। দেশটির সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ‘কাশ্মীর ইস্যুতে আন্তর্জাতিক মিডিয়াগুলোকে ভারসাম্যপূর্ণ সংবাদ পরিবেশন করতে হবে।’

উভয় দেশের মধ্যে কাশ্মীর ইস্যুতে উত্তেজনা চলমান। গত কয়েক মাসে ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে গোলাবর্ষণ ও গোয়েন্দা তৎপরতা বেড়েছে বলে সামরিক সূত্রগুলো জানিয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, ইউটিউব চ্যানেল ব্লক করা ভারতের তথ্য যুদ্ধের কৌশলের একটি অংশ, যা আগামী দিনে আরও তীব্র হতে পারে।