আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে যাবে বৈশ্বিক তাপমাত্রা। অন্তত ৮০ শতাংশ এমন সম্ভাবনা রয়েছে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার (ডাব্লিউএমও)।
বুধবার (২৮ মে) দ্য গার্ডিয়ানের প্রকাশিত খবর থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
ডাব্লিউএমও জানিয়েছে, চরম আকারের খরা, বন্যা ও বনাঞ্চলে আগুনের পরিমাণ বাড়ায় এমন আশঙ্কা করা হচ্ছে। বৈশ্বিক তাপমাত্রা সবচেয়ে বেড়েছিল প্রাক-শিল্প যুগে। তবে ওই সময়ের থেকে আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে কোনো এক বছরে তাপমাত্রা ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি হবে।
সংস্থাটি বলছে, ২০৩০ সালের আগেই এমন পরিস্থিতি দেখতে হবে বিশ্ববাসীকে। আর ডাব্লিউএমওর এ প্রতিবেদনের ভবিষ্যতদ্বাণীকে ‘শকিং’ বলে আখ্যা দিয়েছেন বিজ্ঞানীরা।
বৈশ্বিক তাপমাত্রা মানুষের স্বাস্থ্য, অর্থনীতি ও প্রাকৃতিক ভূদৃশ্যে প্রভাব ফেলেছে। যদি জৈবাশ্ম জ্বালানি তথা তেল, গ্যাস, কয়লা ও গাছ পোড়ান বন্ধ না হয় তাহলে তাপমাত্রা আরও বাড়বে। খুব কম সময়ের আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ করে এ প্রতিবেদন দিয়েছে ডাব্লিউএমও। তবে প্রতিবেদনে দীর্ঘমেয়াদী অনুমান করা হয়েছে।
সংস্থাটি বলছে, ২০২৫ থেকে ২৯ বছরের গড় তাপমাত্রা প্রাক শিল্প-যুগের থেকে দেড় ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি থাকবে। এমন সম্ভাবনা রয়েছে ৭০ শতাংশ।
যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ওশেনিক অ্যান্ড অ্যাটমোস্ফিরিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের (এনওএএ) তথ্যমতে, ১৮৫০ সালের পর গত বছর ছিল সবচেয়ে উষ্ণতম বছর। ২০১৪ সালে তাপমাত্রার পরিমাণ এতো বাড়াকে অকল্পনীয় বলে আখ্যা করা হয়েছিল।