ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধ

ইরানের অপারেশ ‘ট্রু প্রমিজ থ্রি’ শুরু,  ইসরায়েলকে বাঁচাবে কে

অপারেশন ‘ট্রু প্রমিজ থ্রি’ শুরু করে ইসরায়েলে বড় ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইরান। শুক্রবার (১৪ জুন) রাতে শতাধিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে ইরান, যা সরাসরি আঘাত হানে তেল আবিব ও আশেপাশের গুরুত্বপূর্ণ ঘাঁটি ও স্থাপনায়। খবর তাসনিম নিউজ এজেন্সির

প্রকাশিত ছবিতে দেখা যাচ্ছে, রাজধানী তেল আবিবের অনেক এলাকা হামলায় বিধ্বস্ত হয়েছে। ঘরবাড়িতে ও স্থাপনায় আঘাত সবি কিছু লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে ।

ইরান বলেছে, অপারেশনটি ছিল ভবন ও গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ইসরায়েলি হামলার পাল্টাজবাব। শুক্রবার গভীর রাতে ইসরায়েল আবাসিক এলাকা ও গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় হামলা চালালে অপারেশন ‘ট্রু প্রমিজ থ্রি’ শুরু করে ইসলামী বিপ্লব গার্ড ও সেনাবাহিনী।

ইরান জানিয়েছে, এই হামলায় চিফ অফ স্টাফ মেজর জেনারেল মোহাম্মাদ হোসেন বাঘেরি, আইআরজিসিতে কম্যান্ডার হোসেন সালামি, খাতাম আল-আনবিয়া ঘাঁটির কমান্ডার ঘোলাম আলী রাশিদ, অ্যারোস্পেস কম্যান্ডার আমির আলী হাজিজাদে ও অন্তত ছয়জন পারমাণবিক বিজ্ঞানী শহীদ হন।

ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি এই অপরাধের জন্য জায়নিস্ট সরকারকে চরম শাস্তির হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘এই অপরাধের মাধ্যমে জায়নিস্টরা নিজেদের জন্য যে দুর্ভাগ্য ও যন্ত্রণা এনেছে, তা অল্প দিনেই দেখতে পাবে।’

ইসরায়েলের হামলার প্রতিক্রিয়ায় ইরান যে প্রতিশোধ নেবে, তার ইঙ্গিত বহু আগেই মিলেছিল। ইরান জানিয়েছিল, তারা একসাথে ছয়শ’রও বেশি হাইপারসনিক ব্যালিস্টিক মিসাইল ছোঁড়ার সক্ষমতা অর্জন করেছে। এ তথ্য সামনে আসার পর থেকেই নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা বলছিলেন, ইসরায়েল যদি উত্তেজনা বাড়ায়, তবে তার পরিণাম ভয়াবহ হতে পারে।

ইরানের অপারেশন ‘ট্রু প্রমিজ থ্রি’ শুরু, ইসরায়েলকে বাঁচাবে কে?

ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনী (আইআরজিসি) ‘অপারেশন ট্রু প্রমিজ থ্রি’ নামের বৃহৎ সামরিক প্রতিশোধ শুরু করেছে। এ অপারেশনের মূল লক্ষ্য হলো- ইসরায়েলের বিমানঘাঁটি, রাডার ব্যবস্থা, এবং ভূগর্ভস্থ সামরিক ঘাঁটি ধ্বংস করা। বিভিন্ন সামরিক সূত্র জানিয়েছিল, এই অপারেশন তিন ধাপে বাস্তবায়ন হবে-

১. প্রথম ধাপে বিমানঘাঁটি ও রাডার ব্যবস্থার ধ্বংস, ২. দ্বিতীয় ধাপে হিজবুল্লাহ ও হুতি বিদ্রোহীদের মাধ্যমে সীমান্তে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, ৩. তৃতীয় ও চূড়ান্ত ধাপে ভূগর্ভস্থ ঘাঁটি থেকে হাইপারসনিক মিসাইল হামলা।

বিশ্লেষকরা বলছেন, এই ধরনের সমন্বিত আক্রমণ হলে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার কতটা সক্ষমতা রয়েছে তা বড় প্রশ্ন হয়ে দাঁড়াবে। বিশেষত, ইরানের বর্তমান সামরিক শক্তি আগের তুলনায় ১০ গুণ বেশি, যা এই যুদ্ধকে আরও ভয়াবহ করে তুলতে পারে।