যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোকে গ্রেপ্তারে সহায়তাকারীকে ৫০ মিলিয়ন ডলার পুরস্কার দেওয়ার ঘোষণা করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের অভিযোগ, মাদুরো একটি সংঘবদ্ধ আন্তর্জাতিক মাদক নেটওয়ার্কের নেতৃত্ব দিচ্ছেন এবং কোকেইন পাচারে জড়িত।
যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, মাদুরোর নেতৃত্বে ভেনেজুয়েলা হয়ে ৩০ টনের বেশি কোকেইন যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশে পাচার হয়েছে। এর মধ্যে অন্তত ৭ টনের সঙ্গে সরাসরি মাদুরোর সম্পৃক্ততা রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র তাকে ‘নরকো-টেররিস্ট’ আখ্যা দিয়ে বলছে, তিনি মাদক ব্যবসা ও সহিংস চক্র ব্যবহার করে নিজের ক্ষমতা টিকিয়ে রেখেছেন।
তবে মাদুরোর বিরুদ্ধে এ পুরস্কার ঘোষণা নতুন নয়। তাকে ধরিয়ে দেওয়ার জন্য ২০২০ সালে ১৫ মিলিয়ন ডলার পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছিল। পরে সেটি বাড়িয়ে ২৫ মিলিয়ন করা হয়। এবার তা বাড়িয়ে করা হয়েছে ৫০ মিলিয়ন ডলার উন্নতি করে যুক্তরাষ্ট্র। যা ভেনেজুয়েলার কোনো রাষ্ট্রনায়কের বিরুদ্ধে এ যাবৎকালের সবচেয়ে বড় পুরস্কার ঘোষণা।
যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে, মাদুরো মেক্সিকোর কুখ্যাত সিনালোয়া কার্টেল ও ভেনেজুয়েলার সেনাবাহিনীর কিছু অংশের সহযোগিতায় ‘কার্টেল অব দ্য সানস’ নামে একটি চক্র পরিচালনা করছেন। এ চক্র মাদক চোরাচালান ছাড়াও মানবপাচার, অস্ত্র ব্যবসা ও দুর্নীতিতে জড়িত বলে দাবি করা হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র ইতিমধ্যে মাদুরো ও তার ঘনিষ্ঠদের কাছ থেকে ৭০০ মিলিয়নের বেশি ডলারের সম্পদ বাজেয়াপ্ত করেছে। এর মধ্যে রয়েছে বিলাসবহুল বাড়ি, প্রাইভেট জেট ও ব্যাংক অ্যাকাউন্ট।
যুক্তরাষ্ট্রের অ্যাটর্নি জেনারেল প্যাম বন্ডি মিয়ামিতে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘মাদুরো শুধু একনায়ক নন, তিনি একজন আন্তর্জাতিক মাদক ব্যবসার নেতা। তার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক আদালতে বিচার নিশ্চিত করতে আমরা বদ্ধপরিকর।’
এই পদক্ষেপ আন্তর্জাতিকভাবে আলোড়ন তুলেছে। কেউ এটিকে ভেনেজুয়েলার অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ হিসেবে দেখছেন। আবার কেউ বলছেন, এটি বিশ্বব্যাপী মাদকবিরোধী অভিযানের একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।
সূত্র/এপি, রয়টার্স