মাদক কারবারিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সামরিক বাহিনীকে অনুমোদন দিলেন ট্রাম্প

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প একটি গোপন নির্বাহী আদেশে সামরিক বাহিনীকে লাতিন আমেরিকার মাদক চোরাচালানকারী চক্র ও অপরাধী গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানিয়েছে দি নিউইয়র্ক টাইমস। শুক্রবার (০৮ আগস্ট) আল-জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায়।

গোপন এই আদেশের মাধ্যমে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা ও প্রতিরক্ষা দপ্তরের সহায়তায় এসব গোষ্ঠীকে লক্ষ্যবস্তু করা সম্ভব হবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। তিনি বলেন, এখন আমরা এসব গোষ্ঠীকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে বিবেচনা করতে পারি, শুধুই মাদক পাচারকারী হিসেবে নয়।

তবে এই পদক্ষেপ নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে, কারণ এতে মার্কিন সেনাবাহিনী দেশের ভেতর ও বাইরের মাফিয়া সংগঠনের বিরুদ্ধে সক্রিয় হতে পারে। মহাদেশটির কুখ্যাত মাফিয়া চক্র হলো-  সিনালোয়া কার্টেল, ট্রেন দে আরাগুয়া, এবং এমএস-১৩।

মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট ক্লদিয়া শেইনবাউম অবশ্য বলেছেন, ট্রাম্প প্রশাসনের এই পদক্ষেপে মেক্সিকোতে কোনো সামরিক হস্তক্ষেপ হবে না। তিনি জোর দিয়ে বলেন, মেক্সিকোর সার্বভৌমত্ব অবিচ্ছেদ্য, এটি বিক্রির জন্য নয়।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই পদক্ষেপ আইনগত ও নৈতিকভাবে বিতর্কিত হতে পারে। যুক্তরাষ্ট্রের আইনে সেনাবাহিনীকে দেশের ভেতরে পুলিশি কাজে ব্যবহার নিষিদ্ধ। এছাড়া আন্তর্জাতিক আইনে অন্য দেশের সার্বভৌমত্বে হস্তক্ষেপ সীমিত করা হয়েছে।

মানবাধিকার কর্মীদের আশঙ্কা, এই ধরনের কড়া পদক্ষেপে সাধারণ নিরীহ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে, যারা এসব গ্যাংয়ের দখলে থাকা এলাকায় থাকতে বাধ্য হন।

এদিকে ব্রাজিলের সঙ্গেও শীতল সম্পর্ক চলছে ট্রাম্পের। কারণ তিনি ব্রাজিলে তার রাজনৈতিক মিত্র বলসোনারোর বিরুদ্ধে মামলা বন্ধে চাপ দিতে শুল্ক বসিয়েছেন। ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুলা দা সিলভা এই পদক্ষেপকে ‘অগ্রহণযোগ্য হস্তক্ষেপ’ বলে উল্লেখ করেছেন।