লন্ডনে বিশ্বের অন্যতম অস্ত্র মেলা শুরু

লন্ডনে শুরু হয়েছে বিশ্বের অন্যতম বড় প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা সরঞ্জামের মেলা। মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) শুরু হওয়া ডিফেন্স অ্যান্ড সিকিউরিটি ইকুইপমেন্ট ইন্টারন্যাশনাল (ডিএসইআই) মেলাটি ঘিরে এবারও আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু ইসরায়েল। গাজা যুদ্ধকে ঘিরে কূটনৈতিক টানাপোড়েনের কারণে ইসরায়েলের সরকারি প্রতিনিধিদের আমন্ত্রণ জানানো হয়নি।

তবে ইসরায়েলের ৫১টি প্রতিরক্ষা কোম্পানি- রাষ্ট্রায়ত্ত রাফায়েল, ইসরায়েল এয়ারোস্পেস ইন্ডাস্ট্রিজ ও এলবিটসহ- অংশ নিচ্ছে এবারের প্রদর্শনীতে। যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া ও জার্মানির পর এবারের মেলায় ইসরায়েল হবে পঞ্চম বৃহত্তম প্রতিনিধিদল।

প্রতি দুই বছর অন্তর আয়োজিত এই আন্তর্জাতিক প্রদর্শনীকে ঘিরে লন্ডনে ১০০টিরও বেশি সংগঠন বিক্ষোভের প্রস্তুতি নিয়েছে। অস্ত্রবিরোধী সংগঠনগুলোর অভিযোগ, গাজায় ধ্বংসযজ্ঞ চালানো ইসরায়েলি কোম্পানিগুলোকে মুনাফা করার সুযোগ না দিয়ে তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত হওয়া উচিত।

Arms Fair2

গত আগস্টে যুক্তরাজ্য ঘোষণা দেয়, ইসরায়েলের সামরিক অভিযান চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্তের কারণে এবার কোনো সরকারি প্রতিনিধি অংশ নেবে না। ইসরায়েল এই অবস্থানকে ‘বৈষম্যমূলক’ বলে আখ্যা দিয়েছে।

একই দিনে ইসরায়েলের প্রেসিডেন্ট আইজ্যাক হারজগ লন্ডনে পৌঁছান। তার সফরের উদ্দেশ্য হলো ইহুদি সম্প্রদায়ের সঙ্গে সংহতি জানানো, যারা সম্প্রতি আক্রমণ ও ইহুদিবিদ্বেষের মুখোমুখি হচ্ছে।

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ এবং অন্যান্য বৈশ্বিক সংঘাতের কারণে এবারের প্রদর্শনীতে রেকর্ডসংখ্যক প্রদর্শক ও দর্শনার্থীর উপস্থিতি প্রত্যাশা করা হচ্ছে।

এদিকে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কেয়ার স্টারমার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, ইসরায়েল দ্রুত যুদ্ধবিরতিতে রাজি না হলে ব্রিটেন আনুষ্ঠানিকভাবে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেবে। ইতোমধ্যে লন্ডন ইসরায়েলের সঙ্গে বাণিজ্য আলোচনা স্থগিত করেছে এবং গাজায় ব্যবহৃত কিছু অস্ত্র রপ্তানির লাইসেন্স বাতিল করেছে। তবে ব্রিটেন থেকে ইসরায়েলি এফ-৩৫ যুদ্ধবিমানের যন্ত্রাংশ রপ্তানি এখনো অব্যাহত রয়েছে।