ফিলিপাইনে আঘাত হেনেছে ঘূর্ণিঝড় রাগাসা

ফিলিপাইনের উত্তরাঞ্চলে আঘাত হেনেছে সুপার টাইফুন ‘রাগাসা’। প্রবল এই ঘূর্ণিঝড়ে ঘণ্টায় ২৩০ কিলোমিটার গতিতে বাতাস বইছে। সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) স্থানীয় সময় বিকেল ৩টার দিকে এটি আঘাত হানে কাগায়ান প্রদেশের পানুইটান দ্বীপে।

দেশটির আবহাওয়া বিভাগ জানিয়েছে, টাইফুনটি ‘জীবন-হুমকিপূর্ণ’ ঝড়ো হাওয়া ও সমুদ্র জলোচ্ছ্বাসের সম্ভাবনা নিয়ে এসেছে, যার ফলে ১০ ফুট (প্রায় ৩ মিটার) পর্যন্ত ঢেউ সৃষ্টি হতে পারে।

আবহাওয়া কর্তৃপক্ষ ও স্থানীয় প্রশাসন এই পরিস্থিতিকে ‘বিপর্যয়কর’ বলে আখ্যা দিয়েছে। ঝড়ের আশঙ্কায় ইতোমধ্যে হাজার হাজার মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। বিশেষ করে বাতানেস ও বাবুইয়ান দ্বীপপুঞ্জের মতো দুর্গম এলাকাগুলো থেকে প্রায় ৩০০ জনকে সরিয়ে নেওয়া হয়।

ঘূর্ণিঝড়ের কারণে ফিলিপাইনের রাজধানী ম্যানিলা-সহ বিভিন্ন অঞ্চলে স্কুল ও সরকারি অফিস বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। একই সঙ্গে উপকূলবর্তী এলাকাগুলোতে বন্যা, ভূমিধস এবং অবকাঠামো ক্ষতির ব্যাপারে সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি করা হয়েছে।

সুপার টাইফুন ‘রাগাসা’ এখন দক্ষিণ চীনের দিকে অগ্রসর হচ্ছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। তাইওয়ান, হংকং এবং চীন ইতোমধ্যে ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে।

তাইওয়ান উপকূলীয় অঞ্চলের সরকারি অফিস ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করেছে। গুয়াংডং প্রদেশের উপকূলীয় শহর শেনজেন থেকে প্রায় ৪ লাখ মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে সরিয়ে নিয়েছে চীন। হংকং রোববার রাতে এক বিবৃতিতে ঘোষণা দেয়, ২৩ সেপ্টেম্বর রাত ৮টা থেকে ২৫ সেপ্টেম্বর সকাল ৮টা পর্যন্ত হংকং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর বন্ধ থাকবে।

বিশ্বের এই অঞ্চলে বর্তমানে সবচেয়ে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে ‘রাগাসা’-কে। আবহাওয়াবিদরা বলছেন, এর প্রভাবে আসন্ন কয়েক দিন ব্যাপক দুর্যোগ ও প্রাণহানির আশঙ্কা রয়েছে।