পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মিরে টানা চার দিনের সহিংস বিক্ষোভে ৮ জন নিহত হয়েছেন। পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে এ ঘটনায় আরও বহু মানুষ আহত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি এক প্রতিবেদনে এই খবর জানিয়েছে।
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ৩ দিন ধরে পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মিরে সরকারবিরোধী বিক্ষোভ চলছে। বিক্ষোভকারীদের দমন করতে নৃশংস অত্যাচার চালাচ্ছে পাকিস্তানের সশস্ত্র বাহিনী। গতকাল বুধবার (১ অক্টোবর) সেনাবাহিনীর গুলিতে অন্তত আটজন নিহত হয়েছে। গত মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মিরে দুজনের মৃত্যু হয়েছিল। সেখানে অতিরিক্ত ১০০০ সেনা মোতায়েন করা হচ্ছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
পাকিস্তান সরকারের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরে ক্ষোভে ফুঁসছে সেখানকার বাসিন্দারা। গোটা অঞ্চলে স্বাস্থ্য, শিক্ষা, পরিকাঠামো ও খাবার পানির অভাব ভয়াবহ বলে অভিযোগ রয়েছে। বারবার দাবি জানানো হলেও সরকারের তরফ থেকে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। সরকারি কাজে অবহেলা, দুর্নীতি, ঘুষ মাত্রাছাড়া আকার নিয়েছে।
এর বিরুদ্ধে সমগ্র পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মিরজুড়ে ধর্মঘটের ডাক দিয়েছিলেন নীলম ভ্যালি পাবলিক অ্যাকশন কমিটির মুখপাত্র শওকত নওয়াজ মির। মিরের ডাকে সাড়া দিয়ে গত সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) হাজার হাজার মানুষ ব্যানার হাতে নিয়ে পথে নামেন। পুরো অঞ্চলে ‘শাটার ডাউন ও চাক্কা জ্যাম’করা হয়। এর পরই সেই বিক্ষোভ দমন করতে মাঠে নামে সেনা ও আইএসআই সমর্থিত মুসলিম কনফারেন্সের সদস্যরা।
শওকত নওয়াজ মির বলেন, ধৈর্যের সীমা অতিক্রম করেছে। সরকার যদি এভাবে জনগণকে অবহেলা করে তবে তার প্রতিক্রিয়া তো আসবেই। অন্যদিকে প্রশাসনের তরফে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে কোনো রকম ধর্মঘট বরদাস্ত করা হবে না।
তিনি আরও বলেন, ‘সরকারের কাছে আমাদের দাবি ছিল, ৭০ বছর ধরে এখানকার জনগণকে তাদের মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করে রাখা হয়েছে। হয় আমাদের অধিকার ফেরাতে হবে, অন্যথায় জনগণের ক্রোধের মুখোমুখি হতে হবে’। ২০২৪ সালে ঠিক একই রকম আন্দোলনে ফুঁসে উঠেছিল পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মিরের জনগণ। এক বছরের মাথায় ফের একই ঘটনায় চাপ বাড়ছে শেহবাজ সরকারের। সূত্র: এনডিটিভি