ট্রাম্পের নির্দেশ উপেক্ষা করে গাজায় আবারও হামলা, নিহত ৭

ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে সম্মত হওয়ার পরপরই ইসরায়েলকে গাজায় বোমাবর্ষণ বন্ধের নির্দেশ দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে সেই নির্দেশ উপেক্ষা করেই গাজা সিটিতে বিমান হামলা এবং কামানের গোলাবর্ষণ করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। এতে কমপক্ষে সাতজন নিহত এবং বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে গাজার বেসামরিক প্রতিরক্ষা সংস্থা।

শনিবার (৪ অক্টোবর)  বেসামরিক প্রতিরক্ষা মুখপাত্র মাহমুদ বাসাল বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেছেন, ‘এটি ছিল খুবই ভয়াবহ রাত, ইসরায়েলি সেনাবাহিনী গাজা সিটি এবং উপত্যকার অন্যান্য এলাকায় কয়েক ডজন বিমান হামলা এবং কামানের গোলাবর্ষণ চালিয়েছে, যদিও প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বোমা হামলা বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছেন।’

বাসাল আরও জানান, রাতভর বোমাবর্ষণে কমপক্ষে ২০টি বাড়ি ধ্বংস হয়ে গেছে।

এদিকে গাজা শহরের ব্যাপটিস্ট হাসপাতাল এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, শহরের তুফাহ পাড়ায় একটি বাড়িতে বিমান হামলায় চারজন নিহত এবং বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে।

এছাড়াও গাজার খান ইউনিসের নাসের হাসপাতাল জানিয়েছে, বাস্তুচ্যুতদের জন্য একটি শিবিরের তাঁবুতে ড্রোন হামলায় দুই শিশু নিহত এবং আটজন আহত হয়েছে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রস্তাবিত ২০ দফা গাজা শান্তি পরিকল্পনার আলোকে জীবিত ও মৃত সব ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দিতে সম্মত হয়েছে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস। একইসঙ্গে যুদ্ধবিরতি ও প্রশাসনিক হস্তান্তর নিয়ে আলোচনায় বসার আগ্রহও জানিয়েছে তারা। এরপরই ট্রাম্প গাজায় বোমাবর্ষণ বন্ধের আহ্বান জানান এবং ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানিয়াহু গাজায় হামলা থামানোর নির্দেশ দেন দেশটির প্রাতরক্ষা বাহিনীকে (আইডিএফ)। 

তবে ইসরায়েলের আর্মি রেডিও জানিয়েছে, গাজায় অভিযান পুরোপুরি থামায়নি আইডিএফ, তবে সর্বনিম্ন পর্যায়ে নামিয়ে এনেছে, অর্থাৎ হামলা, বোমা ও গোলাবর্ষণ বন্ধ করেছে, তবে অবস্থান ও টহল অব্যাহত রেখেছে। সূত্র: আলজাজিরা