ফ্লোটিলাকে সহায়তার জন্য ইতালি-স্পেন নৌবাহিনীর টহল মোতায়েন

ইসরায়েলের সাম্প্রতিক বাধার পর গাজাগামী ফ্লোটিলাকে সহায়তা করার জন্য ইতালি ও স্পেন নৌবাহিনীর টহল জাহাজ মোতায়েন করছে।

ইতালির প্রতিরক্ষামন্ত্রী গুইডো ক্রোসেটো বলেন, ইতালি এই হামলার নিন্দা জানিয়েছে এবং সম্ভাব্য উদ্ধার অভিযানের জন্য একটি নৌবাহিনীর ফ্রিগেট সক্রিয় করেছে।

তিনি জানান, 'ফাসান' নামের ফ্রিগেটটি বর্তমানে ক্রেট দ্বীপের উত্তরে অবস্থান করছে এবং সেখান থেকে ঘটনাস্থলের দিকে রওনা হয়েছে। ইতালি ইসরায়েলকে তাদের এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দিয়েছে।

ক্রোসেটো বলেন, গণতন্ত্রে, যখন বিক্ষোভ বা প্রতিবাদ আন্তর্জাতিক আইন মেনে এবং অহিংস উপায়ে করা হয়, তখন তা সুরক্ষিত থাকা উচিত।

স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজ জানান, স্পেনও একটি টহল জাহাজ পাঠাবে, যা নৌবহরকে সহায়তা করতে পারে কিংবা প্রয়োজনে উদ্ধার কাজেও অংশ নিতে পারে।

নিউ ইয়র্কে এক বিবৃতিতে সানচেজ বলেন, স্পেনীয় সরকার দাবি করে যে আন্তর্জাতিক আইন মেনে চলা উচিত এবং আমাদের নাগরিকদের ভূমধ্যসাগরে নিরাপদে চলাচলের অধিকারকে সম্মান করা উচিত।

এদিকে ইতালির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, নৌবহরের ওপর হামলার পর হাজার হাজার ভুয়া ইমেইলের মাধ্যমে তাদের সার্ভারে ‘মেইল বোমিং’ চালানো হয়েছে, যা তাদের কম্পিউটার ব্যবস্থায় বিঘ্ন ঘটিয়েছে।

এর আগে বুধবার, গ্লোবাল সামুদ ফ্লোটিলা এক জরুরি বার্তায় তাদের সমর্থকদের মেইল পাঠিয়ে ইতালি সরকারকে এ হামলার নিন্দা জানাতে এবং দায়ীদের ওপর কূটনৈতিক চাপ প্রয়োগের আহ্বান জানায়।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মতে, এই ইমেইল প্রচারণা তাদের সংকট ব্যবস্থাপনা ইউনিটের কাজকে ব্যাহত করেছে, যা নৌবহরে থাকা ইতালীয় নাগরিকদের প্রধান যোগাযোগ কেন্দ্র হিসেবে কাজ করছিল। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ফ্লোটিলায় ৫৮ জন ইতালীয় ছিলেন, যাদের মধ্যে কয়েকজন সংসদ সদস্যও রয়েছেন।

ইউরোপীয় ইউনিয়ন যেকোনো শক্তি প্রয়োগের বিরুদ্ধেও সতর্ক করেছে। ইউরোপীয় কমিশনের মুখপাত্র ইভা হ্রনসিরোভা বলেন, আন্তর্জাতিক আইনের অধীনে নৌ চলাচলের স্বাধীনতা সমুন্নত রাখতে হবে।

এদিকে জাতিসংঘের মানবাধিকার দপ্তরের মুখপাত্র থামিন আল-খিতান এ ঘটনার তদন্তের আহ্বান জানিয়েছেন।