রাইসির হেলিকপ্টারের যে সমস্যার কথা জানালেন তুর্কি পরিবহনমন্ত্রী

হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়ে নিহত হয়েছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি। তার আকস্মিক এ মৃত্যুতে শোকার্ত পুরো ইরান। ইতোমধ্যে পাঁচ দিনের জাতীয় শোক পালিত হচ্ছে দেশটি জুড়ে। এর মধ্যেই ব্যাপক জল্পনা-কল্পনা শুরু হয়েছে রাইসির এ হেলিকপ্টার দুর্ঘটনা ঘিরে। চলছে তদন্তও। এমন পরিস্থিতিতে রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টারের সমস্যা নিয়ে মুখ খুলেছেন তুরস্কের পরিবহনমন্ত্রী আবদুলকাদির উরালোগলু। সোমবার (২০ মে) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান।

সেন্টার ফর এভিয়েশন অ্যাক্সিডেন্ট পরিচালিত এক জরুরি গবেষণার বরাত দিয়ে আব্দুলকাদির উরালোগলু বলেন, ইরানের প্রেসিডেন্ট ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে বহনকারী হেলিকপ্টারটির সিগন্যাল সিস্টেম চালু ছিল না অথবা এটিতে তেমন কোনো ব্যবস্থা ছিল না। সেন্টার ফর এভিয়েশন অ্যাক্সিডেন্ট পরিচালিত এক জরুরি গবেষণায় এ তথ্য উঠে এসেছে।

সাংবাদিকদের তিনি বলেন, খবর পাওয়ামাত্রই আমরা হেলিকপ্টার থেকে একটি সংকেত পরীক্ষা করেছিলাম, কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত সম্ভবত হেলিকপ্টারটির সিগন্যাল সিস্টেমটি বন্ধ হয়ে গিয়েছিল অথবা হেলিকপ্টারটিতে কোনো সিগন্যাল সিস্টেমই ছিল না। ফলে আমরা তাদের অবস্থান শনাক্ত করতে পারিনি।

তুরস্কের পরিবহন মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা বলেন, আমরা জানি না আসলে হেলিকপ্টারটিতে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ছিল না নাকি এটি বন্ধ রাখা হয়েছিল। তবে নিরাপত্তা জনিত কারণে হলেও এটি বন্ধ থাকার কথা নয়। সব ধরনের বিমান, বিশেষ করে যেসব হেলিকপ্টার রাষ্ট্রীয় কর্মকর্তাদের বহন করে সেগুলোতে এই ব্যবস্থা থাকা উচিত।

এর আগে একইদিন, ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টারটির ধ্বংসাবশেষের সন্ধান মেলে। দুর্ঘটনা কবলিত হেলিকপ্টারটি বেল ২১২ মডেলের বলে জানানো হয়েছে ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমে। ১৯৬০ সালে একটি মার্কিন কোম্পানি দুই ব্লেডের এই মডেলটি তৈরি করেছিল কানাডিয়ান সেনাবাহিনীর জন্য।

রাইসি ছাড়াও ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আব্দোল্লাহিয়ান, পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের গভর্নর মালেক রহমাতি, পূর্ব আজারবাইজানে ইরানের সর্বোচ্চ নেতার প্রতিনিধি মোহাম্মদ আলি আলে-হাশেম ও প্রেসিডেন্ট গার্ডের প্রধান মেহেদি মুসাভি ছিলেন হেলিকপ্টারটিতে। এ ছাড়া হেলিকপ্টারের পাইলট, কো-পাইলট ও ক্রুও মারা গেছেন।