সিরিয়ায় ৪৮ ঘণ্টায় ২৫০ ইসরায়েলি হামলা

সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কসহ বিভিন্ন স্থানে ২৫০টিরও বেশি বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। মূলত দেশটির বিভিন্ন সামরিক স্থাপনা লক্ষ্য করে এসব বিমান হামলা চালানো হচ্ছে। 

সংবাদ সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, আসাদ সরকারের পতনের পর গোলান মালভূমির সিরিয়া-নিয়ন্ত্রিত এলাকা ‘দখলে’ নিয়েছে ইসরায়েল।

বিবিসি জানিয়েছে, সিরিয়ার কিছু সংবাদমাধ্যম দাবি করছে, ইসরায়েলের যুদ্ধবিমান দামাস্কাস-সহ বেশ কিছু অঞ্চলে হামলা চালিয়েছে। যদিও দামাস্কাসে হামলার অভিযোগ নিয়ে এখনও পর্যন্ত কোনও মন্তব্য করেনি ইসরায়েল।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সূত্রটি ইসরায়েলি আর্মি রেডিওকে জানিয়েছে, গত দুইদিনে রাজধানী দামেস্কসহ সিরিয়ায় ২৫০টিরও বেশি সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালানো হয়েছে।

 

সোমবার (৯ ডিসেম্বর) সিরিয়ার ভূমধ্যসাগরীয় লাতাকিয়া বন্দরের কাছে একটি বিমান প্রতিরক্ষা ঘাঁটি লক্ষ্য করে হামলা চালায় তেল আবিব। রাজধানী দামেস্কেও শোনা যায় বেশ কয়েকটি বিস্ফোরণের শব্দ।

আল জাজিরা বলছে, স্থানীয় সময় সোমবার সন্ধ্যায় রাজধানীর কাছে একটি গ্রামে ৪টি বিমান হামলা চালানো হয়। এছাড়া, দামেস্কের কাছে অবস্থিত ৩টি সামরিক ঘাঁটি লক্ষ্য করে ব্যাপক হামলা চালায় ইসরায়েলি বাহিনী। এতে ঘাঁটিগুলো পুরোপুরি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।

কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, গোলান মালভূমির সিরিয়া-নিয়ন্ত্রিত এলাকায় ইসরায়েলি অনুপ্রবেশকে একটি ‘বিপজ্জনক পদক্ষেপ’ ও সিরিয়ার সার্বভৌমত্বের ওপর নির্লজ্জ আক্রমণ, পাশাপাশি এটিকে দোহা আন্তর্জাতিক আইনের ‘স্পষ্ট লঙ্ঘন’ বলে মনে করে।

ইসরায়েলের এমন আচরণ আন্তর্জাতিক আইনের ক্রমাগত লঙ্ঘন ও সিরিয়ার নিরাপত্তা, স্থিতিশীলতা ও আঞ্চলিক অখণ্ডতা পুনরুদ্ধারের সম্ভাবনাকে দূরে ঠেলে দিতে পারে বলে মন্তব্য করেছে সৌদি আরব।

অন্যদিকে বাগদাদ ইসরায়েলের এসব কর্মকাণ্ডের সমালোচনা করে বলেছে, তেল আবিব আন্তর্জাতিক আইনের গুরুতর লঙ্ঘন করেছে।

১৯৬৭ সালে ছয় দিনের যুদ্ধ শেষে গোলান মালভূমি দখল করে নেয় ইসরায়েল। এরপর ১৯৮১ সালে তারা এই অঞ্চলটিকে একতরফাভাবে নিজেদের অংশ বলে ঘোষণা করে। তবে যুক্তরাষ্ট্র ছাড়া আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এটিকে সিরীয় ভূখণ্ডের বেআইনি দখল বলে বিবেচনা করে।