যুদ্ধবিরতি কার্যকর: ধ্বংসস্তূপে ফিরছে গাজার মানুষ

অবশেষে গাজায় কার্যকর হয়েছে যুদ্ধবিরতি। গতকাল শুক্রবার বাংলাদেশ সময় বিকাল ৫টার দিকে ইসরায়েলি সেনারা জনবহুল এলাকা থেকে সরে যায়। এর পর থেকেই দলে দলে বাস্তুচ্যুত মানুষ নিজেদের বাড়ির পথে যাত্রা শুরু করেছে। উপকূলবর্তী সড়কগুলোতে দেখা গেছে মানুষের ঢল।

চুক্তি অনুযায়ী গাজার নির্দিষ্ট কিছু এলাকা থেকে সেনা সরিয়ে নিচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। এই ঘোষণার পর ভেঙে পড়া, পোড়া ঘরবাড়িতে ফিরতে শুরু করেছেন গাজার মানুষ। বাড়ি বলতে এখন আর কিছু নেই, শুধু ধ্বংসস্তূপ। এরপরও বহু মানুষ ফিরছেন, কারণ তাদের আর কোনো উপায় নেই। 

দীর্ঘ আলোচনার পর মিসরের শারম আল শেখ শহরে হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতির চুক্তি হয়। এরপর ইসরায়েলের মন্ত্রিসভা তা অনুমোদন করে এবং শুক্রবার (১০ অক্টোবর) স্থানীয় সময় দুপুরে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়।

এদিকে হামাসের শীর্ষ নেতা খলিল আল-হায়া এক ভিডিওবার্তায় জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রসহ মধ্যস্থতাকারীদের কাছ থেকে তারা যুদ্ধের ‘সম্পূর্ণ সমাপ্তি’র নিশ্চয়তা পেয়েছেন। তিনি বলেছেন, এখন থেকে ফিলিস্তিনের স্বাধীন রাষ্ট্র গঠনে দেশি-বিদেশি সংস্থা ও রাজনৈতিক শক্তির সঙ্গে একযোগে কাজ করবে হামাস। 

অন্যদিকে, যুক্তরাষ্ট্রও জানিয়েছে, যুদ্ধবিরতি বাস্তবায়ন ও স্থিতিশীলতা আনতে ২০০ সেনার একটি যৌথ টাস্কফোর্সে অংশ নেবে তারা। তবে মার্কিন সেনারা গাজার ভেতরে মোতায়েন হবে না। টাস্কফোর্সে থাকবে মিশর, কাতার, তুরস্ক ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রতিনিধিরাও।