আফগানিস্তান ও পাকিস্তানের মধ্যে চলমান সীমান্তসংঘাত নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ইরান। একই সঙ্গে এই দুই প্রতিবেশী মুসলিম দেশের মধ্যে উত্তেজনা প্রশমনে সহায়তার প্রস্তাব দিয়েছে তেহরান।
শনিবার (১৮ অক্টোবর) আফগান পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির খান মুত্তাকির সঙ্গে এক ফোনালাপে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি বলেন, ‘এই সংঘাত অব্যাহত থাকলে তা শুধু মানবিক বিপর্যয় ডেকে আনবে না, বরং গোটা অঞ্চলের স্থিতিশীলতাও হুমকির মুখে পড়বে।’
তিনি দুই দেশকে সংযম প্রদর্শন, সংঘাত বন্ধ ও আলোচনার মাধ্যমে বিরোধ মেটানোর আহ্বান জানান। আরাগচি আরও জানান, ‘আফগানিস্তান ও পাকিস্তানের মধ্যে গঠনমূলক সংলাপ সহজতর করতে তেহরান প্রস্তুত।’
ফোনালাপে আফগান পররাষ্ট্রমন্ত্রী মুত্তাকি বলেন, তালেবান সরকার সামরিক সংঘাতের চেয়ে সংলাপ ও শান্তিপূর্ণ সমাধানকেই অগ্রাধিকার দেয়।
এ সময় দুই দেশের মধ্যে হেলমান্দ নদীর পানির অধিকার নিয়েও আলোচনা হয়। উভয় পক্ষ বিদ্যমান পানি চুক্তি বহাল রাখা, প্রযুক্তিগত সহযোগিতা বৃদ্ধি ও যৌথভাবে পানি সম্পদ ব্যবস্থাপনার ওপর জোর দেয়। এছাড়া সীমান্ত নিরাপত্তা বজায় রাখা ও আঞ্চলিক বিষয়ে বিদেশি হস্তক্ষেপ প্রতিরোধে একসঙ্গে কাজ চালিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে সম্মত হয় দুই নেতা।
গত ৯ অক্টোবর পাকিস্তান কাবুলে টিটিপি (তেহরিক-ই তালেবান পাকিস্তান) সদস্যদের লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালায়। এতে সংগঠনটির শীর্ষ নেতা নূর ওয়ালি মেহসুদসহ একাধিক জঙ্গি নেতা নিহত হন। এর জের ধরে ১১ অক্টোবর আফগান বাহিনী পাকিস্তানি সেনা চৌকিতে পাল্টা হামলা চালায়। চার দিন সংঘাতের পর যুদ্ধবিরতিতে গেলেও মেয়াদ শেষ হতেই নতুন করে সংঘর্ষ শুরু হয়েছে।
আফগানিস্তানের কান্দাহার ও পাকতিকা প্রদেশে পাকিস্তানের সর্বশেষ বিমান হামলায় নিহত হয়েছেন কমপক্ষে ৬০ জন এবং আহত হয়েছেন দেড় শতাধিক। পরিস্থিতি এখনো উত্তপ্ত। সূত্র: মেহের নিউজ