যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের উপস্থিতিতে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দুই দেশ থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়া যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে সই করেছে। মালয়েশিয়ায় অনুষ্ঠিত এ চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে ট্রাম্প নিজেও স্বাক্ষর করেন।
রোববার (২৬ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা এএফপি। এসময় মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমও উপস্থিত ছিলেন।
এএফপি জানায়, ট্রাম্পের চলমান এশিয়া সফরের প্রথম ধাপেই এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। সাম্প্রতিক সীমান্ত সংঘাতের পর রোববার ট্রাম্পের উপস্থিতিতে থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী অনুতিন চার্নভিরাকুল ও কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী হুন মানেত শান্তি চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।
রোববার মালয়েশিয়ায় পৌঁছানোর মধ্য দিয়ে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের এশিয়া সফরের আনুষ্ঠানিক সূচনা হয়। দেশটিতে অনুষ্ঠিত আসিয়ান সম্মেলনে যোগ দেওয়ার পর তিনি জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়া সফর করবেন।
সফরের সবচেয়ে আলোচিত অংশ হতে যাচ্ছে ট্রাম্প ও চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের বৈঠক। দুই দেশের চলমান বাণিজ্যযুদ্ধের অবসান ঘটাতে ওই বৈঠকে নতুন বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে আলোচনা হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ওয়াশিংটন ছাড়ার আগে সাংবাদিকদের ট্রাম্প বলেন, ‘আমি আশাবাদী, চীন নতুন একটি চুক্তিতে রাজি হবে যাতে আগামী ১ নভেম্বর থেকে কার্যকর হতে যাওয়া অতিরিক্ত ১০০ শতাংশ শুল্ক আরোপ বন্ধ করা যায়।’
এ সফরে উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনের সঙ্গেও সাক্ষাতের ইঙ্গিত দিয়েছেন ট্রাম্প। ২০১৯ সালের পর এটিই হতে পারে দুই নেতার প্রথম মুখোমুখি বৈঠক।
মালয়েশিয়া সফর শেষে সোমবার ট্রাম্প পৌঁছাবেন জাপানে। মঙ্গলবার তিনি জাপানের নতুন প্রধানমন্ত্রী সানায়ে তাকাইচির সঙ্গে বৈঠক করবেন।
তাকাইচিকে ‘চমৎকার একজন নেতা’ হিসেবে আখ্যায়িত করে ট্রাম্প বলেন, ‘তিনি প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের ঘনিষ্ঠ অনুসারী, যা যুক্তরাষ্ট্র-জাপান সম্পর্কের জন্য ইতিবাচক।’
তাকাইচি শনিবার ফোনে ট্রাম্পকে জানান, তার সরকারের প্রধান কূটনৈতিক অগ্রাধিকার হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে জোট আরও শক্তিশালী করা।
এরপর বুধবার ট্রাম্প দক্ষিণ কোরিয়ার বন্দরনগরী বুসানে পৌঁছাবেন, যেখানে তিনি এপেক সম্মেলনে যোগ দেবেন এবং দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট লি জে মিয়ংয়ের সঙ্গে বৈঠক করবেন।
বৃহস্পতিবার ট্রাম্প ও শি জিনপিংয়ের মধ্যে বহুল প্রতীক্ষিত বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। এটি হবে ট্রাম্পের ক্ষমতায় ফেরার পর দুই নেতার প্রথম মুখোমুখি সাক্ষাৎ। বিশ্বজুড়ে এই বৈঠককে কেন্দ্র করে ব্যাপক আগ্রহ তৈরি হয়েছে, কারণ এর মাধ্যমেই দুই পরাশক্তির বাণিজ্যযুদ্ধের অবসানের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।