ইসরায়েলকে একদিনেই মাটিতে মিশিয়ে দিতে পারে ইরান

১২ দিনের যুদ্ধে আয়রন ডোমকে ফাঁকি দিয়ে ইসরায়েলি ভূখণ্ডে আঘাত হেনে বিশ্বের সামরিক বিশেষজ্ঞদের প্রশংসা কুড়িয়েছে ইরান। দেশটির ক্ষেপণাস্ত্রগুলো ইসরায়েলকে এক নজিরবিহীন নিরাপত্তা দুঃস্বপ্নের মুখোমুখি করেছিল।

১২ দিনের ওই যুদ্ধে শক্তি প্রদর্শন করে ইরানি ক্ষেপণাস্ত্রগুলো আবারও পশ্চিমা বিশেষজ্ঞদের প্রশংসা জাগিয়ে তোলে এবং ‘ইসরায়েলের মারাত্মক দুঃস্বপ্নের’ দিকে দৃষ্টি আকর্ষণ করে। 

সাবেক এক মার্কিন সেনা কর্মকর্তার বরাত দিয়ে ফার্স নিউজের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘ইরানের একটি বিশাল ক্ষেপণাস্ত্র ভাণ্ডার রয়েছে। যা দিয়ে ইরান একদিনেই ইসরায়েলকে মাটিতে মিশিয়ে দিতে পারে’। এমনটাই মনে করেন মার্কিন সেনাবাহিনীর প্রাক্তন সদস্য কর্নেল ডগলাস ম্যাকগ্রেগর।

তিনি জোর দিয়ে বলেন, ইরান একেবারেই যুদ্ধ শুরু করতে চায় না। তবে শত্রুর মুখোমুখি হওয়ার জন্য তাদের উল্লেখযোগ্য সামরিক ক্ষমতা রয়েছে। 

ম্যাকগ্রেগরই একমাত্র ব্যক্তি নন যিনি ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র ক্ষমতার প্রশংসা করেছেন। ১২ দিনের ওই যুদ্ধের সময় যখন ইরানি ক্ষেপণাস্ত্রগুলো নিক্ষেপ করা হচ্ছিল এবং অধিকৃত অঞ্চলের গভীরে সেগুলো আঘাত হানছিল, তখন অন্যান্য বিশেষজ্ঞরাও ইরানের প্রশংসা করেন। 

এই ব্যক্তিদের মধ্যে একজন কৌশলগত তুর্কি বিশেষজ্ঞ ইব্রাহিম কালাশ। তিনি বলেছেন, ‘ইরান ইসরায়েলের আয়রন ডোমকে একটি ড্রেনে পরিণত করেছে’।

এই সামরিক বিশেষজ্ঞ বিশ্বাস করেন, ১২ দিনের সেই যুদ্ধের আগে ইসরায়েল নিজেকে বিশ্বের সবচেয়ে নিরাপদ অঞ্চল হিসেবে উপস্থাপন করার চেষ্টা করছিল। কিন্তু ইরানি ক্ষেপণাস্ত্রগুলো তাদের সেই আধিপত্য ভেঙে দিয়েছে এবং ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছে। 

ইব্রাহিম কালাশ ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র প্রযুক্তির কথাও উল্লেখ করেছেন। তিনি জোর দিয়ে বলেছেন, ইসরায়েল এই ক্ষেপণাস্ত্র প্রযুক্তি এবং ইরানের ভয়াবহ আক্রমণ প্রতিহত করতে অক্ষম।

পশ্চিমা বিশ্লেষকরা ইরানের নতুন ক্ষেপণাস্ত্র সম্পর্কে ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রকে সতর্ক করে বলেছেন, ইরান পূর্ণ মাত্রার আক্রমণে ডিমোনা পারমাণবিক চুল্লি বা হাইফা বন্দরের মতো গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ লক্ষ্যবস্তু করতে পারে। ইরান এর আগে পশ্চিম এশিয়ায় দুটি মার্কিন ঘাঁটি লক্ষ্য করে তার শক্তি প্রদর্শন করেছিল। শহীদ জেনারেল কাসেম সোলাইমানিকে হত্যা করে মার্কিন অভিযানের জবাবে দেশটি তার ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে ইরাকের আইন আল-আসাদ ঘাঁটি লক্ষ্য করে। তারপর ১২ দিনের যুদ্ধে ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় মার্কিন হামলার পর তারা কাতারের আল-উদেইদ ঘাঁটি লক্ষ্য করে হামলা চালায়। এসবই ইরানের শক্তি ও সক্ষমতার প্রমাণ।