যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের দেওয়া অল্টিমেটামের মুখে বিক্ষোভ আরও জোরদার হয়েছে। কয়েক ডজন ফিলিস্তিনপন্থি বিক্ষোভকারী হ্যামিল্টন হল ভবন দখলে নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেছে।
অ্যাকাডেমিক এই হল ভবনটি ১৯৬০ এর দশকে ছাত্র বিক্ষোভের কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল। মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) বিক্ষোভকারীরা হ্যামিল্টন হলে অবস্থান নেওয়ার মধ্য দিয়ে ভবনটি দখলে নেয়।
বিক্ষোভকারীরা হলের জানালা ভেঙে ভেতরে ঢুকে। বাইরে থাকা অন্যান্য বিক্ষোভকারীরা সেখানে থাকা টেবিল দিয়ে হলের দরজা বন্ধ করে দেয়। হলের সামনে হাতে হাত ধরে ব্যারিকেডও তৈরি করে তারা।
ভেতর থেকে এক বক্ষোভকারী চিৎকার করে বলেন, তারা গাজায় ইসরায়েলি দখলদার বাহিনীর হাতে নিহত ছয় বছর বয়সী ফিলিস্তিনি শিশু ‘হিন্দ’ এর সম্মানার্থে ভবনটি 'মুক্ত' করেছেন, যে দখলদার বাহিনীকে অর্থায়ন করছে কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়।
এ সময় বাইরে থাকা অন্য বিক্ষোভকারীরাও একই কথার পুনরাবৃত্তি করে। ভবনের ওপর তলা থেকে বিক্ষোভকারীরা ‘হিন্দ'স হল’ লেখা একটি ব্যানারও ঝুলায়।
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এর আগে সোমবার দুপুর ২টার মধ্যে শিক্ষার্থীদেরকে তাঁবু শিবিরে অবস্থান কর্মসূচি বন্ধের আল্টিমেটাম দিয়ে বলেছিল, অন্যথায় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পরে নির্দেশ অমান্য করে বিক্ষোভ চালিয়ে যাওয়া শিক্ষার্থীদের বহিষ্কারও করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তারপরও শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ চালিয়ে যেতে থাকে।
ফিলিস্তিনের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ ও অবস্থান কর্মসূচি চলছে। এর সূচনা হয়েছে কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে।