পূর্বঘোষণা অনুযায়ী শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) থেকে কানাডা ও মেক্সিকোর পণ্যে ২৫ শতাংশ মার্কিন শুল্ক আরোপ কার্যকর শুরু হবে। খবর রয়টার্স।
স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) হোয়াইট হাউসের ওভাল অফিসে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ডোনাল্ড ট্রাম্প এ কথা বলেন।
ওভাল অফিসে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ট্রাম্প বলেন, আমাদের সীমান্ত দিয়ে বিপুল পরিমাণ অবৈধ অভিবাসী ও ফেন্টানিল প্রবেশ করছে, যা যুক্তরাষ্ট্রের জন্য ক্ষতিকর। পাশাপাশি আমাদের প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে বাণিজ্য ঘাটতিও রয়েছে। এসব সমস্যা সমাধানের জন্যই আমি এই শুল্ক বসানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
ট্রাম্প আরও জানান, তিনি চীনের ওপরও নতুন শুল্ক বসানোর পরিকল্পনা করছেন, যা আগে ১০ শতাংশ হারের কথা বলা হলেও আরও বাড়তে পারে। তিনি অভিযোগ করেন, চীন যুক্তরাষ্ট্রে ফেন্টানিল সরবরাহ করছে, যার ফলে হাজার হাজার মার্কিন নাগরিক মারা যাচ্ছে।
ট্রাম্পের এই শুল্ক নীতির কারণে চীনের সঙ্গে বাণিজ্য যুদ্ধ আবার শুরু হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। এর আগে, ২০১৮ সাল থেকে চীনের আমদানি উল্লেখযোগ্যভাবে কমে গিয়েছিল, যার একটি বড় কারণ ছিল ট্রাম্প প্রশাসনের ধারাবাহিক শুল্ক বৃদ্ধির নীতি।
চীনের ভাইস প্রিমিয়ার ডিং শুয়েশিয়াং সুইজারল্যান্ডের ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামে (ডব্লিউইএফ) বলেন, চীন ‘উভয়পক্ষের জন্য লাভজনক’ সমাধান খুঁজছে ও আমদানি বাড়াতে চায়। তবে তিনি সরাসরি যুক্তরাষ্ট্রের নাম উল্লেখ করেননি।
ট্রাম্পের ঘোষণার পর কানাডা ও মেক্সিকোও পাল্টা প্রতিক্রিয়ার ইঙ্গিত দিয়েছে। দেশ দুটি জানিয়েছে, তারা নিজেদের স্বার্থ রক্ষায় যথাযথ পদক্ষেপ নেবে ও যুক্তরাষ্ট্রের সীমান্ত-সংক্রান্ত উদ্বেগ দূর করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়েছে। এদিকে চীনের ওপর কর আরোপের ব্যাপারে পরিকল্পনা করছেন বলে জানান ট্রাম্প। তবে কবে এবং কত শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হবে বেইজিং এর ওপর তা নিয়ে কোনো মন্তব্য করেননি তিনি।
চীন যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিতীয় বৃহত্তম ব্যবসায়ীক অংশীদার। যুক্তরাষ্ট্রের বাজার চীনা পণ্যের ওপর ব্যাপকভাবে নির্ভরশীল। তারপরও চীনা পণ্যের ওপর শুল্ক বৃদ্ধির কারণ হিসেবে ট্রাম্পের দাবি, চীন থেকে ব্যথানাশক ফেন্টানিলের রাসায়নিক উপাদান মেক্সিকো হয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রবেশ করে।
ট্রাম্প প্রথম মেয়াদেও চীনা পণ্যে শুল্ক আরোপ করেছিলেন। এবার নির্বাচনী প্রচারণায় তিনি দেশটির পণ্যের ওপর ৬০ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক আরোপের হুমকি দিয়েছেন।