যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশিসহ গ্রেপ্তারকৃত ১০ অবৈধ অভিবাসীকে কিউবার গুয়ান্তানামো বেতে স্থানান্তর করা হতে পারে। এ বিষয়ে তীব্র বিরোধিতা করে শনিবার (১ মার্চ) দেশটির আদালতে মামলা করেছে আমেরিকান সিভিল লিবার্টিজ ইউনিয়ন (এসিএলইউ) নামের মানবাধিকার বিষয়ক একটি সংগঠন।
জানা গেছে, গুয়ান্তানামো বে কারাগারটি কুখ্যাত কারাগার হিসেবে পরিচিত। সেখানে আটক ব্যক্তিদের আত্মহত্যার প্রবণতা রয়েছে। তাই গ্রেপ্তার হওয়া অভিবাসীদের ওই কারাগারে পাঠানো ঠেকাতে জোরালো অবস্থান নিয়েছে মানবাধিকার সংস্থাগুলো।
ট্রাম্প প্রশাসনের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলায় বলা হয়েছে, অভিবাসীদের এভাবে গুয়ান্তানামো বেতে পাঠানো মার্কিন সংবিধানের লঙ্ঘন। তারা ওয়াশিংটন ডিসির একটি ফেডারেল আদালতের কাছে এর প্রতিকার চেয়েছে। আদালতে জমা দেওয়া নথিতে ১০ জন অভিবাসীর কথা উল্লেখ করেছে এসিএলইউ। তাদের মধ্যে বাংলাদেশ, এশিয়াসহ আরও কয়েকটি দেশের নাগরিক রয়েছেন। সেগুলো হচ্ছে- আফগানিস্তান ও পাকিস্তান। এছাড়া ওই নথিতে ভেনেজুয়েলার অভিবাসী নাগরিকদের নামও রয়েছে।
মামলার এজহারে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে অভিবাসীদের আটকে রাখা বা তাদের নিজ দেশে অথবা অন্য কোনো আইনি ব্যবস্থার জন্য এ চ্যালেঞ্জ করেনি মানবাধিকার সংস্থাগুলো, বরং তারা গুয়ান্তানামোতে অভিবাসীদের স্থানান্তর এবং আটকে রাখার ট্রাম্প প্রশাসনের অভূতপূর্ব এবং বেআইনি সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করছে।
ক্ষমতায় আসার আগে অবৈধ অভিবাসীদের বিরুদ্ধে কঠোর নীতি ঘোষণা করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। ক্ষমতায় বসেই ফেব্রুয়ারির শুরুর দিক থেকেই গুয়ানতানামো বেতে অবস্থিত মার্কিন নৌঘাঁটির বন্দিশিবিরে অবৈধ অভিবাসীদের পাঠানো শুরু করে ট্রম্প প্রশাসন। সন্ত্রাস বা মাদক দমনে গুয়ানতানামো বেতে আটক রাখা হয়। মূলত বিদেশি অপরাধীদের সেখানে আটকে রাখা হয়। তবে ওই ১০ অভিবাসীর কেউ কোনো সন্ত্রাসী দলের সদস্য বা অপরাধী নন। সূত্র: এনবিসি নিউজ