এবার আর্মেনিয়া ও আজারবাইজানের মধ্যে শান্তি চুক্তির মধ্যস্থতা করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। শুক্রবার (৮ আগস্ট) হোয়াইট হাউজে এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
এই চুক্তির মাধ্যমে দুদেশের মধ্যে স্বাভাবিক সম্পর্ক গড়ে তুলে দ্বিপাক্ষিক অর্থনৈতিক সম্পর্ক জোরদার করার পথে অগ্রসর হওয়া যাবে বলে মনে করে যুক্তরাষ্ট্র। ট্রাম্প বলেছেন, দীর্ঘদিন, প্রায় ৩৫ বছর ধরে তারা লড়াই করছে। এখন তারা বন্ধু এবং পরবর্তী দীর্ঘসময় তারা বন্ধুই থাকবে।
চুক্তি স্বাক্ষর শেষে আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভ ও আর্মেনিয়ার প্রধানমন্ত্রী নিকোল পাশিনিয়ান করমর্দন করেন। এই মুহূর্তকে ‘ঐতিহাসিক’ বলে বর্ণনা করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
ট্রাম্প বলেছেন, দুই দেশ এখন সব মারামারির অবসান ঘটিয়ে পারস্পরিক আঞ্চলিক অখণ্ডতার প্রতি সম্মান প্রদর্শন এবং কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনে রাজি হয়েছে।
চুক্তির আওতায়, দক্ষিণ ককেশাসে একটি কৌশলগত ট্রানজিট করিডরের একচেটিয়া অধিকার পাবে যুক্তরাষ্ট্র, যা জ্বালানি ও অন্যান্য সম্পদ রফতানিতে সহায়ক হবে বলে মনে করে মার্কিন প্রশাসন। চুক্তিটি কার্যকর থাকলে এটি ট্রাম্প প্রশাসনের জন্য বড় অর্জন হিসেবে গণ্য হতে পারে। সেক্ষেত্রে অস্বস্তিতে পড়তে পারে মস্কো। কারণ তাদের কাছে এটি ক্রেমলিনের প্রভাববলয়ের অংশ।
ট্রাম্প আরও জানান, দুই দেশের সঙ্গেই জ্বালানি, বাণিজ্য ও প্রযুক্তি খাতে পৃথক চুক্তি করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এর মধ্যে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাও অন্তর্ভুক্ত। এছাড়া আজারবাইজানের সঙ্গে প্রতিরক্ষা সহযোগিতার ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়েছে।
শান্তি চুক্তির জন্য ট্রাম্পকে ধন্যবাদ জানিয়েছে আর্মেনিয়া ও আজারবাইজান। দুদেশের নেতাই বলেন, ট্রাম্পকে নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনীত করবেন তারা।