ফ্রান্সে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে দ্বিতীয় দফার ভোটগ্রহণ রোববার (৭ জুলাই) শুরু হচ্ছে। শনিবার প্রচারের শেষ দিনে ৫০টিরও বেশি সহিংস হামলা অবাক করেছে সবাইকে। প্রথম দফায় কট্টর ডানপন্থিদের কাছে হারের পর কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁ। এতে ফ্রান্সের ক্ষমতায় যেতে পারেন কট্টর ডানপন্থিরা। এ জন্য মাখোঁর জন্য দ্বিতীয় দফার ভোট এক অগ্নিপরীক্ষা হিসেবে বিবেচিত।
শনিবার (৬ জুলাই) আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রথম দফার ভোটে ফ্রান্সের কট্টর ডানপন্থি দল ন্যাশনাল র্যালি (আরএন) পার্টি ২৯ শতাংশের বেশি ভোট পেয়ে জয়ী হয়। দলটি আগে ন্যাশনাল ফ্রান্ট নামে পরিচিত ছিল। দ্বিতীয় দফার ভোট সামনে রেখে তারা ফ্রান্সজুড়ে মিছিল করেছেন। গত বুধবার প্যারিসের বিখ্যাত প্লেস ডি লা রিপাবলিক থেকে মিছিল নিয়ে তারা শহরটিতে তাদের সদরদপ্তরে পৌঁছান।
ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডনে ফ্রান্স ও ইউরোপীয় রাজনীতি বিষয়ের অধ্যাপক ফিলিপ মারলিয়ার বলেন, পরিস্থিতি অত্যন্ত নাটকীয় ও গুরুতর হতে যাচ্ছে। আরএন যাতে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়, সেই চেষ্টাই চলছে।
নির্বাচনের প্রথম পর্বে মাখোঁর রেনেসাঁ পার্টি মাত্র ২০ শতাংশ ভোট পেয়েছিল। বামপন্থি দলগুলোর জোট, যাকে বলা হয় নিউ পপুলার ফ্রন্ট, তারা ২৮ শতাংশের বেশি ভোট পেয়েছে। ওই জোটের উদ্দেশ্য মেরিন লেপেনের নেতৃত্বে জাতীয়তাবাদী ও ৬৮ শতাংশ, যা ২০২২ সালের সংসদ নির্বাচনের ৪৭ দশমিক ৫ শতাংশের তুলনায় বেশি।
ফ্রান্সের ৫৭৭ আসনের পার্লামেন্ট নির্বাচনের প্রথম ধাপেই সবকিছু নিশ্চিত করে দেয় না। তথাপি আরএন অপেক্ষাকৃত বেশি আসন পেয়েছে, যা দলটিকে ক্ষমতায় আনার সম্ভাবনাকে প্রকট করেছে। এমনটা হলে ৮০ বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো কট্টরপন্থি শাসন ফিরবে ফ্রান্সে।