নির্বাচনে পাকিস্তানের কোনো রাজনৈতিক দল একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি। তাই দেশটিতে জোট সরকার গড়তে হবে। তবে ক্ষমতার ভাগাভাগির বিষয়টি এখনো স্পষ্ট হয়নি।
এদিকে ইমরান খান ও নওয়াজ শরিফ পাকিস্তানের সাবেক দুই প্রধানমন্ত্রী এবারের নির্বাচনে নিজ নিজ দলের বিজয় দাবি করেছেন। এই পরিস্থিতিতে পাকিস্তানের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী যিনিই হন না কেন, তাকে আগামী কয়েক দিনের মধ্যে জাতীয় পরিষদে সংখ্যাগরিষ্ঠতা দেখাতে হবে।
স্বতন্ত্রদের ক্ষমতা গ্রহণ
এবারের ভোটের লড়াইয়ে সবচেয়ে বেশি আসনে জয়ী হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। তাদের প্রায় সবাই ইমরান খান ও তার দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) সমর্থক। আইনি প্রতিবন্ধকতায় পিটিআই এবার দলীয়ভাবে নির্বাচনে অংশ নিতে পারেনি। কৌশল হিসেবে স্বতন্ত্র লড়াইয়ে নামেন দলটির নেতারা। পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত ফল অনুসারে স্বতন্ত্ররা জিতেছে ১০১টি আসনে।
পার্লামেন্টে এখন যদি তারা একক ব্লকে বা ছোট কোনো দলে যুক্ত হন, তাহলে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনে জোর পদক্ষেপ নিতে পারেন। সংরক্ষিত আসন বরাদ্দ পেতে পারেন। এমনকি প্রধানমন্ত্রী পদেও প্রার্থী দাঁড় করাতে পারেন।
পিএমএল-এনের জোট সরকার
সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের দল পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন)। পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশনের ফল অনুসারে, এবারের নির্বাচনে দলটি ৭৫টি আসনে জয় পেয়েছে। অন্যদিকে বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারির দল পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি) পেয়েছে ৫৪টি আসন।
এখন রাজনৈতিক অচলাবস্থা কাটাতে জোট গড়ে ক্ষমতায় যেতে চাইছে পিএমএল-এন ও পিপিপি। আগামী কয়েক দিনে এ দুই দল ক্ষমতা ভাগাভাগির জন্য সমঝোতায় পৌঁছাতে পারে।
সরকার প্রধানের পদে বিলাওয়াল
আরেকটি বিকল্প হলো, বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারির প্রধানমন্ত্রী হওয়া। ভোটের হিসাবে পিপিপি তৃতীয় অবস্থানে আছে। কিন্তু জোট গড়ার ক্ষেত্রে বিলাওয়ালকে সরকারপ্রধানের পদে বসানোর কৌশল বেছে নিয়েছে পিপিপি। এ নিয়ে দলটি পিএমএল-এনের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে।
নির্বাচনের আগে পিপিপির পক্ষ থেকে এমনটাই আভাস দেওয়া হয়েছিল। বিলাওয়াল বলেছিলেন, তিনি অনেক সঙ্কটে জর্জরিত পাকিস্তানকে মুক্তির পথ দেখাতে একটি নতুন প্রক্রিয়া চালু করবেন। কেননা দেশের বয়স্ক নেতৃত্ব এসব চ্যালেঞ্জ সামাল দিতে পারছেন না। সূত্র: রয়টার্স।