চিন্ময় কৃষ্ণের আইনি অধিকার নিশ্চিতের দাবি দিল্লির

বাংলাদেশের সনাতনী নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাস আইনি অধিকারের পাশাপাশি দেশের সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবি জানিয়েছে ভারত। শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের অবস্থা উদ্বেগজনক। আশা করব সে দেশের সরকার সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা দেবে।’ খবর আনন্দবাজার পত্রিকা অনলাইন’র।

রণধীর জয়সওয়াল সাংবাদিকদের আরও বলেন, ‘আশা করব চিন্ময় কৃষ্ণের বিরুদ্ধে অভিযোগের স্বচ্ছ এবং নিরপেক্ষ বিচার হবে। তার আইনি অধিকার অক্ষুণ্ণ থাকবে।’

তিনি আরও জানান, তবে বর্তমান পরিস্থিতিতে ভারত-বাংলাদেশ বাণিজ্য বন্ধ হবে না।

রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় ঢাকায় গ্রেপ্তার সনাতনী নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর জামিন মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) চট্টগ্রাম আদালতে নামঞ্জুর হলে তার অনুসারীদের সংঘর্ষের সময় আদালত প্রাঙ্গণে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম নিহত হয়েছেন। এর প্রতিবাদে দেশজুড়ে নিন্দা ও প্রতিবাদের ঝড় ওঠে। পাশাপাশি ইসকন নিষিদ্ধের জোর দাবি জানানো হচ্ছে।

এদিকে, বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) ভারতের বিদেশ প্রতিমন্ত্রী কীর্তিবর্ধন সিংহ সে দেশের সংসদে বিবৃতিতে বাংলাদেশ পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছেন, ‘বিগত কয়েক মাস ধরে বাংলাদেশের বিভিন্ন হিন্দু মন্দির এবং বিগ্রহের উপর হামলা এবং ভাঙচুরের রিপোর্ট আসছে। ভারত সরকার এই ধরনের ঘটনা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করছে।’

তিনি দাবি করে বলেন, ‘তার মধ্যে রয়েছে এই বছরের দুর্গাপুজো চলাকালীন ঢাকার তাঁতিবাজারের মণ্ডপে আক্রমণ, সাতক্ষীরার যশোরেশ্বরী কালীমন্দিরে ডাকাতির মতো ঘটনা। বাংলাদেশ সরকারকে ভারত বলতে চায়, তারা সে দেশে বসবাসকারী হিন্দু এবং সমস্ত সংখ্যালঘু মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করুক এবং তাদের প্রার্থনার জায়গা নিরাপদ রাখুক।’

এদিকে, শুক্রবারই বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল ফেসবুক পোস্টে কঠোর সমালোচনা করে লেখেন, ‘সংখ্যালঘু প্রশ্নে ভারতের দ্বিচারিতা নিন্দনীয় ও আপত্তিকর।’ তিনি বলেন, ‘ভারতের নিজের মাটিতে সংখ্যালঘু মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষের ওপর অসংখ্য নির্মমতার ঘটনা ঘটে চলেছে। সেটা নিয়ে তাদের সংকোচ বা অনুশোচনা নেই।’