তরুণকে অপহরণ করে যৌন নিপীড়ন, নারীর কারাদণ্ড

ভারতের রাজস্থানে ১৭ বছর বয়সী এক তরুণকে অপহরণ ও তার ওপর যৌন নিপীড়ন চালানোর অভিযোগে ৩০ বছর বয়সী এক নারীকে ২০ বছরের কারাদণ্ডে দিয়েছেন দেশটির আদালত।

২০২৩ সালের অক্টোবরে রাজস্থানের বুন্দিতে ঘটনাটি ঘটেছিল। রোববার (২০ এপ্রিল) দ্য টেলিগ্রাফে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

জানা যায়, ২০২৩ সালের অক্টোবর মাসে নিখোঁজ হয় ওই তরুণ। পরবর্তীতে তার মা এ বিষয়ে থানায় অভিযোগ করেন। 

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, লালীবাই মোগিয়া নামের ওই অভিযুক্ত নারী কৌশলে তার ১৭ বছরের ছেলেকে জয়পুরে নিয়ে যান এবং একটি হোটেল কক্ষে ছয় থেকে সাত দিন আটকে রাখেন। এ সময় তাকে মদ্যপান করিয়ে যৌন নিপীড়ন চালানো হয়।

একই বছরের ৭ নভেম্বর ওই তরুণের মায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়। মামলা রুজু করা হয় ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৬৩ ধারা (অপহরণ), জুভেনাইল জাস্টিস আইন ও POCSO আইন অনুযায়ী।

তদন্ত শেষে লালীবাই মোগিয়াকে গ্রেপ্তার করা হলেও পরে তিনি জামিনে মুক্ত হন। আদালতের শুনানিতে বুঞ্চির পোকসো আদালতের বিচারক সেলিম বদরা অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করে ২০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ৪৫ হাজার টাকা জরিমানার রায় দেন।

ঘটনাটি সমাজে যৌন অপরাধ নিয়ে প্রচলিত লিঙ্গভিত্তিক ধারণার বিরুদ্ধে একটা চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেয়। যেখানে ভিকটিম একজন পুরুষ/তরুণ এবং অভিযুক্ত একজন নারী। সেই ক্ষেত্রে ভারতের বিচারব্যবস্থার এই রায় একটি নজির হয়ে উঠতে পারে। পোকসো আইনের নিরপেক্ষ প্রয়োগের একটি দৃষ্টান্ত হিসেবেও এটি চিহ্নিতযোগ্য।

যৌন নিপীড়নের ঘটনা যেকোনো লিঙ্গের ক্ষেত্রেই সমান গুরুতর এবং আইন সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করে—এই বার্তাটিই হয়তো এই রায়ের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিক।