ভারতের গুজরাটের আহমেদাবাদ থেকে ২৪২ জন যাত্রীসহ লন্ডনের উদ্দেশে যাত্রার কিছু সময় পরই বিধ্বস্ত হয়েছে এয়ার ইন্ডিয়ার একটি বিমান। এরপর সঙ্গে সঙ্গে আগুন ধরে যায়। এই দুর্ঘটনায় বিমানটির সকল আরোহীর মৃত্যুর আশঙ্কা করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে শতাধিক মরদেহ উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইকোনমিক টাইমস।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইকোনমিক টাইমস জানায়, উদ্ধার অভিযানে কাজ করছে অন্তত ৯০ জন কর্মীর তিনটি দল। ধ্বংসস্তূপ সরাতেই বেরোচ্ছে একের পর এক লাশ। সবশেষ কমপক্ষে ১৩৩ জন নিহতের খবর পাওয়া গেছে। নিহতের এই সংখ্যা আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এখনও অনেকের খোঁজ মেলেনি।
বৃহস্পতিবার (১২ জুন) দুপুর ১টা ৩৮ মিনিটের দিকে আহমেদাবাদের সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল বিমানবন্দর থেকে বিমানটি যুক্তরাজ্যের লন্ডনের উদ্দেশে উড্ডয়ন করে। এর কিছুক্ষণ পরই অহমেদাবাদের মেঘানি নগর এলাকায় ইন্টার্ন চিকিৎসকদের একটি হোস্টেলের ওপর ভেঙে পড়ে বিমানটি।
পুলিশ জানিয়েছে, একশোরও বেশি মৃতদেহ, যেগুলোর অধিকাংশই আগুনে পুড়ে গেছে, সেগুলো স্থানীয় সরকারি হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।
এক জ্যেষ্ঠ পুলিশ কর্মকর্তা সাংবাদিকদের বলেন, যে ভবনের ওপর বিমানটি বিধ্বস্ত হয়েছে সেটি চিকিৎসকদের হোস্টেল। আমরা এরই মধ্যে ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ এলাকা পরিষ্কার করেছি এবং বাকিটাও দ্রুত পরিষ্কার করা হবে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, বিমানটি আহমেদাবাদ বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়নের পরপরই নিয়ন্ত্রণ হারায় এবং আবাসিক এলাকার কাছে একটি কলেজের ছাত্রাবাসের ওপর বিধ্বস্ত হয়। এরপরই আগুন ধরে যায় পুরো উড়োজাহাজে। চারপাশে ছড়িয়ে পড়ে ঘন কালো ধোঁয়া। দুর্ঘটনার পর স্থানীয় বাসিন্দা ও প্রশাসনের লোকজন দ্রুত উদ্ধার কাজে অংশ নেন।
এয়ার ইন্ডিয়া এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, বিমানটিতে ২৩২ জন সাধারণ যাত্রী এবং ১০ জন ক্রু ছিলেন। এর মধ্যে ১৬৯ জন ভারতীয়, ৫৩ জন ব্রিটিশ, একজন কানাডিয়ান ও সাতজন পর্তুগিজ নাগরিক।
তবে এখন পর্যন্ত কত জনের মৃত্যু হয়েছে, তা সরকারিভাবে প্রকাশ করেনি প্রশাসন।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, মেঘানি এলাকার যে বহুতলে বিমানটি ভেঙে পড়েছে, সেখানে থাকেন সিভিল হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসকরা। তার পাশের একটি বিল্ডিংয়ে থাকেন রেসিডেন্ট চিকিৎসকরা। তারা সকলেই আহমেদাবাদের সিভিল হাসপাতালে কর্মরত ছিলেন। কত জন হতাহত হয়েছেন, তা স্পষ্ট নয়।
এদিকে অসমর্থিত একটি সূত্রের বরাতে এনডিটিভি জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত ৫ জন চিকিৎসকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।